দান বা নফল সাদাকার ফজিলত নিয়ে বিস্তারিত:-
আল্লাহ তাআলা বলেন:-
হে ঈমানদারগণ! আমার দেওয়া রিজিকের কিয়াদাংশ দান করে দাও এমন এক মহা সংকটপুর্ণ দিন আসার পূর্বে যে দিন না কোন বেচা কিনা চলবে, না কোন বন্ধুত্ব কাজে আসবে এবং আল্লাহর অনুমতি ভিন্ন না কোন সুপারিশের সুযোগ হবে।
সুরা বাকারা ২৫৪
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ এবং তোমরা যারা আল্লাহর রাস্তায় দান করবে উহার প্রতিদান তোমাদিগকে পুরাপুরি দেয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি কোনপ্রকার জুলুম করা হবে না।
সুরা আনফাল ৬০
আল্লাহপাক আরও ইরশাদ ফরমানঃ আল্লাহ তাআলা সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং সদকাকে বর্দ্ধিত করে দেন।
সুরা বাকারা ২৭৬
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যারা আপন ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে তাদের দৃষ্টান্ত হলো ঐ দানার মত যেখান হতে এরূপ সাতটি ছড়া বের হলো যার প্রত্যেকটিতে একশত করে দানা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। –
সুরা বাকারা ২৬১
আল্লাহ তাআলা চিরন্তন সত্য কোরআনুল করীমে ফরমানঃ যাহারা আল্লাহর মাল আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে অতঃপর দান গ্রহিতার প্রতি কোন প্রকার খোঁটাও দেয় না অথবা কটু কথাও বলে না, স্বীয় প্রতিপালকের নিকট তাদের জন্য প্রতিদান রয়েছে। কেয়ামতের দিন তাদের কোন ভয় নেই এবং কোন প্রকার চিন্তাযুক্তও হবে না।
সুরা বাকারা ২৬২
আল্লাহপাক আরও ইরশাদ ফরমানঃ এবং তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের তরফ হতে ক্ষমা প্রাপ্তির দিকে এবং এমন জান্নাতের দিকে দৌড়াতে থাক যার প্রশস্ততা হবে সপ্ত আসমান ও জমীনের সমতুল্য যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এমন সব মোত্তাকীনদের জন্য যারা সুখ-দুঃখ উভয় হালতেই আল্লাহর রাস্তায় দান খয়রাত করে থাকে এবং রাগ আসলে উহা হজম করে লয়; মানুষের অপরাধ ক্ষমা করে দেয়। বস্তুত আল্লাহ তাআলা পরোপকারী লোকদের ভাল বাসেন।
সুরা আল ইমরান ১৩৩-১৩৪
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ শয়তান তোমাদিগকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়, আর আল্লাহ তাআলা দান করার বিনিময়ে ক্ষমা করা ও সম্পদ বৃদ্ধি করার ওয়াদা করেন। বস্তুতঃ আল্লাহপাক সমৃদ্ধিশালী, সর্বজ্ঞানী।
সুরা বাকারা ২৬৮
আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ ফরমানঃ যারা স্বীয় ধন-সম্পদ রাত্রে এবং দিনে, গোপনে এবং প্রকাশ্যে দান করে থাকে তাদের প্রতিদান আপন প্রতিপালকের নিকট সুরক্ষিত থাকবে, আর তারা ভয়শূন্য ও চিন্তা মুক্ত থাকবে।
সুরা বাকারা ২৭৪
হাদীসে আছে, সাখাওয়াত এবং ভাল স্বভাব এ দুটি জিনিস ব্যতিরেকে কেহই আল্লাহর ওলী হতে পারে নি। অর্থাৎ আল্লাহর ওলীদের মধ্যে সাখাওয়াত ও সৎস্বভাব নিশ্চয়ই বিদ্যমান থাকে। -দায়লামী।
★★দান-সদকার ফাযায়েলঃ
সাল্লাহু আলাইহি রসূলে করীম ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমানঃ সদকা দেওয়ার ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ কর। কেননা মছীবত সদকাকে ফেড়ে অগ্রসর হতে পারে না।
মিশকাত।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ সদকা সম্পদকে হ্রাস করে না, ক্ষমা করা দ্বারা আল্লাহ বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধি করেন; আর কেউ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে তাওয়াজ্জু বা বিনয় অবলম্বন করলে আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন।
সহীহ মুসলিম, তিরমিযি।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা ফরমানঃ হে আদম সন্তান! তুমি দান কর, আমি তোমাকে দান করব।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আদি ইবনে হাতিম (রাঃ) বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- তোমাদের মধ্যে যার পক্ষে সম্ভব একটা খেজুরের টুকরা দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা করুক।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, নামায, রোযা, সদকা ও সৎ কাজের আদেশ এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ (এ সব আমল) মানুষের পরিবার, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী সংক্রান্ত গোনাহসমূহ মোচন করে দেয়।
সহীহ বুখারী।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রসূলে আকরাম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি একটা খেজুর বরাবর সদকা করবে পবিত্র উপার্জন থেকে- আর আল্লাহ পবিত্র উপার্জন ব্যতীত কবুল করেন না, তাহলে আল্লাহ তার সদকাকে কবুল করবেন। অনন্তর সেটা বর্দ্ধিত করবেন, যেমন তোমাদের কেউ তার অশ্বশাবককে লালন-পালন করে বড় বানাতে থাকে ( এভাবে আল্লাহ তার সদকাকে বৃদ্ধি করতে থাকেন) এমনকি তা পাহাড় সমান হয়ে যায়।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে মহিলাদের কাছে গেলেন এবং (তাদের লক্ষ্য করে) বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা সদকা কর। কেননা, আমাকে দেখান হয়েছে যে, জাহান্নামের সিংহভাগ হল নারী। মহিলাগণ জিজ্ঞাসা করল, তার কী কারণ ইয়া রসূলুল্লাহ! তিনি বলেন, তার কারণ হল, তোমরা বেশী বেশী অভিশাপ দাও এবং স্বামীর না-শোকরী কর।
সহীহ বুখারী।
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন যে, নবী আকদাস সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ দান আল্লাহ তাআলার রোষ প্রশমিত করে এবং খারাপ মৃত্যু রোধ করে।
জামী তিরমিযী।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখন মানুষ মারা যায়, তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল (এর সওয়ব) বন্ধ হয় না। তা হল- সদকায়ে জারিয়া, ইলম-যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং তার নেককার সন্তান যে তার জন্য দুআ করে।
সহীহ মুসলিম, তিরমিযী।
তাবেই হযরত মারছাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমাকে নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জনৈক সাহাবী বলেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, কেয়ামতের দিন মুমিনের ছায়া হবে তার দান-সদকা। (মুসনাদে আহমদ, সহীহ ইবনে খুযায়মা।)
হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে বস্ত্র দান করবে, আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিধান করাবেন। যে কোন মুসলমান অন্য কোন ক্ষুধার্ত মুসলমানকে আহার করাবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল থেকে আহার করাবেন। যে কোন মুসলমান অন্য কোন পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে ‘রহীকে মাখতুম’ থেকে পান করাবেন। (আবু দাউদ।)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, আমি নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যে কোন মুসলমান অন্য কোন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করাবে, সে আল্লাহর হেফাজতে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত সেই কাপড়ের একটি টুকরাও তার শরীরে থাকবে। (তিরমিযী।)
👉ইসলামের জন্য প্রথম জীবন দেন যে নারী-
👉হযরত মুসা (আঃ) ও আল্লাহ তালার কথোপকথন-
👉রাসূলুল্লাহ(ﷺ ) ও এক আগন্তুকের অবিশ্বাসনীয় ঘটনা-
হযরত আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ (হে আসমা!) তুমি দান করতে থাকবে এবং হিসাব করবে না। অন্যথায় আল্লাহও তোমাকে দেয়ার ব্যাপারে হিসাব করবেন। আর (সম্পদ) ধরে রাখবে ন, অন্যথায় আল্লাহ তোমার ব্যাপারে ধরে রাখবেন। তোমার শক্তি অনুসারে সামান্য হলেও দান করবে।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যদি কোন মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপন করে কিংবা শস্য বপন করে, অতঃপর তা হতে কোন মানুষ, পাখী বা জানোয়ার ভক্ষণ করে, তাহলে অবশ্যই তা তার জন্যে দান রূপে পরিগণিত হবে।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর ইবাদত কর, (দরিদ্রকে) খাদ্য দান কর এবং উচ্চ শব্দে সালাম কর। নিরাপত্তা সহকারে জান্নাতে প্রবেশ কর।
জামী তিরমিযি, ইবনে মাযাহ।
একটি হাদীসে আছে- রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা সদকা কর এবং সদকা দ্বারা রোগীর রোগ চিকিৎসা কর। কেননা, সদকা রোগ এবং বালা-মুসিবত দূর করে এবং আয়ু ও নেকী বৃদ্ধি করে।
বায়হাকী।
হযরত হারেছা ইবনে নোমান (রাঃ) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মিসকীনকে নিজ হাতে দেয়া খারাপ মৃত্যু হতে রক্ষা করে।
তাবারানী, বায়হাকী, জামে সগীর।
👉হেদায়াত লাভের গল্প-
👉হযরত আলী (রাঃ) ও ফাতেমা (রাঃ) একটি শিক্ষনীয় ঘটনা-
👉 যারা খুব বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন না, তাদের জন্য সহজ একটি আমল:
★★আত্মীয়কে সদকা করার সওয়াবঃ
হযরত সালমান ইবনে আমের (রাঃ) বলেন যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ সাধারণ অভাবীকে সদকা করা দ্বারা শুধু সদকার সওয়াব পাওয়া যায়, আর আত্মীয়-স্বজনকে সদকা করা দ্বারা দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়- সদকার সওয়াব ও আত্মীয়তা সুরক্ষার সওয়াব।
তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ।
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মুসলমান সওয়াবের নিয়তে তার আল-আওলাদের প্রয়োজনে ব্যয় করে, তখন তা (আল্লাহর নিকট) সদকা হিসাবে গণ্য হয়।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মানুষের ব্যয়কৃত দীনারের মধ্যে সর্বোত্তম দীনার হল তা, যা সে তার পরিবারের প্রয়োজনে ব্যয় করে, আর জিহাদের উদ্দেশ্যে রক্ষিত পশুর জন্যে ব্যয় করে এবং জিহাদরত তার সঙ্গীদের জন্যে ব্যয় করে।
সহীহ মুসলিম।
হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ কোন পুরুষ নিজের উপর, নিজের সন্তান-সন্তুতির উপর, নিজ পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের উপর যা ব্যয় করে সেসব তার জন্য সদকা।
তাবরানী, মাআরিফুল হাদীস।
★★কোন সদকা উত্তমঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আরজ করেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! কোন সদকা উত্তম? তিনি বললেন, সে সদকা উৎকৃষ্টতম সদকা, যা গরীব ব্যক্তি আপন উপার্জন থেকে করে। আর প্রথমে তাদের উপর ব্যয় করে সে যাদের জিম্মাদার (অর্থাৎ আপন স্ত্রী ও সন্তানাদির উপর)
সুনানে আবু দাউদ, মাআরিফুল হাদীস।
👉 যে দোয়া ১ বার পাঠ করলে রাত দিন অনবরত জিকিরের চেয়েও বেশি সওয়াব পাবেন!:
👉 সমস্ত গুনাহ মাফের দোয়া সমূহ:
👉 ফজরের নামাজের উপকারিতা / ফজিলত / বৈজ্ঞানিক উপকারিতা:
★★কোন অবস্থার দান উত্তমঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি হুযুর সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী! কোন অবস্থায় দান ফলাফলের দিক দিয়ে সর্বোত্তম? রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সুস্থ ও উপার্জনক্ষম অবস্থার দান। যখন তোমার দরিদ্র হওয়ারও ভয় থাকে এবং ধনী হওয়ারও আশা থাকে। তুমি নিয়তই দান-খয়রাত করতে থাকবে। এমনকি তোমার প্রাণ গ্রীবাদেশে পৌঁছা পর্যন্ত বলতে থাকবে অমুকের জন্যে এটা, অমুকের জন্যে এটা; আর তোমার বিশ্বাস আছে যে, তা পৌঁছান হবে।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
★★দাতা ও কৃপণ ব্যক্তি সম্পর্কে হাদীসঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখনই আল্লাহর বান্দারা প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ করে, তখনই দুজন ফিরিশতা অবতীর্ণ হন। তন্মধ্যে একজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! তুমি দাতা ব্যক্তিকে প্রতিদান দাও। আর অন্যজন বলতে থাকেন, হে আল্লাহ! তুমি কৃপণ ব্যক্তিকে লোকসান দাও।
সহীহ বুখারী, মুসলিম।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমানঃ দাতা ব্যক্তি আল্লাহরও নিকটে, জান্নাতেরও নিকটে, মানুষেরও নিকটে; অথচ জাহান্নাম থেকে দূরে। পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ থেকেও দূরে, জান্নাত থেকেও দূরে, মানুষ থেকেও দূরে; অথচ জাহান্নামের নিকটে। নিশ্চয়ই মূর্খ দাতা, কৃপণ ইবাদাতকারীর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
জামী তিরমিযী।
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ধোকাবাজ, কৃপণ ও যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় জান্নাতে দাখেল হবে না।
জামী তিরমিযী।
★★প্রিয় জিনিস দান-সদকা করাঃ
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল করীমে ইরশাদ করেনঃ তোমরা কখনও নেকীর মধ্যে পূর্ণতা হাসিল করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা নিজেদের প্রিয় জিনিস হতে কিছু খরচ না করবে।।
সুরা ইমরান ১৯২
আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি দান করার তথা গরীব ও ইয়াতীমদের সাহায্য করার তৌফিক দাও আমিন।
👉 নিশ্চিত দোয়া কবুলের সেরা ১০টি সময়ঃ-
👉 আল্লাহর নাজাত লাভের উপায়:
👉 সকাল-সন্ধ্যায় এই ২ টি ছোট দোয়ার অকল্পনীয় ফজিলত: