বিপদের সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে ৩টি দোয়া পাঠ করতেন
হাদিস নংঃ০১
“সাদ ইবনে আবি ওক্কাস (রা.) বলেন,,,
“নবী করিম (সাঃ) দুঃখ-কষ্টের সময় পাঠ করতেনঃ-
“লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন”। (দোয়া ইউনূস)
অর্থঃ-একমাত্র তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারী।
[তিরমিযী, হাদিস নং-৩৫০০]
হাদিস নংঃ-০২
“আসমা বিনতে ওমাইর (রা.) থেকে বর্ণিত,,,
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ-
“আমি কিহ তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব নাহ যা তুমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানির মধ্যে পড়বে, সাহাবী বললেন, অবশ্যই শেখাবেন, রাসূল (সাঃ) বলেনঃ-
‘আল্লাহু আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান”
অর্থঃ-আল্লাহই আল্লাহ আমার প্রতিপালক, আমি তার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করি নাহ”
[আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-১৫২৫]
হাদিসঃ-০৩
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওআনতা তাজআলুল হুযনা সাহলান ইযা শিইতা”।
অর্থঃ-ইয়া আল্লাহ, কোনো বিষয় সহজ নয়। হ্যাঁ, যাকে তুমি সহজ করে দাও, যখন তুমি চাও তখন তুমি মুশকিলকে সহজ করে দাও।
[ইবনে হিব্বান: হাদিস নং-৯৭৪]
“আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে উপরোক্ত তিনটি দোয়ার উপর আমল করার তৌফিক দান করুন, আমিন!
আযানের সূচনা!
আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “আর যখন তোমরা সালাতের জন্য আহবান কর,
তখন তারা একে হাসি-তামাশা ও খেলা বলে মনে করে। কারণ তারা এমন লোক যাদের বোধশক্তি নেই”- (সূরা আল-মাদিয়াহ ৫/৫৮)।
আল্লাহ্ তা’আলা আরো বলেছেনঃ “আর যখন জুমুয়া’র দিনে সালাতের জন্য ডাকা হয় ।”
[সূরা আল-জুমু’আহ ৬২/৯]
প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকে না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৬)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো।
কোনো কিছুকে তার সঙ্গে শরিক কোরো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, দূর-প্রতিবেশী,
সঙ্গী-সাথী, মুসাফির ও তোমাদের দাস-দাসীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৬)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৫)