নারী ও পুরুষের সালাতে কি পার্থক্য আছে?
উত্তরঃ সালাতের ভেতর তেমন কোন পার্থক্য নেই। তবে বাইরের কিছু পার্থক্য আছে। যেমনঃ
১. সালাতে নারী ইমাম সামনে যেতে পারবে না, সামনের কাতারে মাঝে দাঁড়াবে।
আবু দাউদ + দারা কুতনী-৪৯৩।
২. ইমামের ভুল হলে লোকমা দিতে পারবে না, হাত দিয়ে শব্দটা করবে।
বুখারী-১২০৩
মুসলিম-৭৮২
মিশকাত-৯৮৮।
৩.পুরুষের কাপড় টাকুর উপরে থাকবে, কিন্তু নারীর টাকনু ঢাকা থাকবে।
তিরমিজি-১৭৩১
আবু দাউদ-৪১১৭
মিশকাত-৪৩৩১।
৪.নারীদের মাথা ঢাকা আবশ্যক (সালাত হবে না)
বাংলা বুখারী-৩৫২
আবু দাউদ-১৯৬।
৫.প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্পুর্ন শরীর ঢেকে রাখা আবশ্যক (সালাত হবে না)।
আবু দাউদ-৬৪১
তিরমিজি-৩৭৭
মিসকাত-৭৬২,৭৬৩।
এর বাইরে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য পার্থক্য নেই।।
কাযা সালাত পড়া সম্পর্কে বিস্তারিত?
উত্তরঃ কাযা সালাত বলতে নির্ধারিত সময়ে সালাত না পরে অন্য কোনো সময়ে সালাত আদায় করা। কাযা সালাতের নিয়ম সহীহ হাদিসের আলোকেঃ
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,
রাসুল (সাঃ) বলেন তোমাদের কেউ যদি সূর্য ডোবার পূর্বে ১ রাকাত আসরের সালাত পাও অথবা সূর্য উঠার সময় ১ রাকাত ফজরের সালাত পাও, তবে তোমাদের সালাত কে পূর্ণ করে নাও।
বুখারি-৫৫৬
মিশকাত-৬০২
রাসুল (সাঃ) বলেন,যদি কোন কারনে (ঘুমের) সালাত ছুটে গেলে, যখনি ঘুম ভাঙবে অথবা যখনি স্বর্ণ হবে তখনি সালাত আদায় করে নিবে।
সহীহ বুখারী-৫৯৭
সহীহ মুসলিম-১৫৯২,১৫৯৮,১৬০০
মিশকাত-৬০৩,৬৮৪,৬৮৭
কাযা সালাত আদায়ের কোন নির্দিষ্ট বলা নিষিদ্ধ সময় নেই, স্বরণ হওয়ার সাথে সাথেই পড়তে হবে।
আলো বানী+ মিশকাত-৬০২
একাধিক ব্যক্তি হলে জামাআতের সাথে আদায় করবে এবং একাধিক ওয়াক্তের সালাত হলে পৃথক পৃথক ইকামাতে সালাত আদায় করে নাও।
সহীহ বুখারী-৫৯৬,৫৯৮
সহীহ মুসলিম-১৫৬০,৬৮০
বিঃদ্রঃ উমরী কাযা (আগেকার দিনের সালাত, যখন সালাত পড়ছিল না) বলে প্রচলিত সালামের কোন ভিত্তি নেই।। এটা বিদায় ছারা কি হতে পারে।।
কেননা, কেউ যদি খালিস দিলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, আল্লাহ তার পূর্বের সবাই গুনাহ মাফ করে দিবেন।
সূরা যুমার-৫৩
সূরা ফুরকান-৭১