ধৈর্যশীল হওয়ার উপায়
জীবনে আকস্মিক কোন ধাক্কা খেয়েছেন ?
প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছেন ?
চুপ করে যান,
চুপ মানে একদম চুপ,
থম মারা বলে যাকে,সেই রকম চুপ।
কয়েকটা দিন-
এক সপ্তাহ/পনের দিন/এক মাস।
একদম চুপসে যান।
মনে করুন, আপনি এই জগতের নন।
এই জগতে আপনার কেউ নাই।
নিজের মাঝে গুটিয়ে যান।
কে কী বলল,
কে কী করল সবকিছু থেকে সরে যান।
ঘরে ডাকাত পড়ার আশংকা করলে
মানুষ যেমন নীরব হয়ে যায়,
ঠিক তেমনটিই নীরব হয়ে যান।
সে সময়টায় কাউকে
নিজের কষ্টগুলো বলতে যাবেন না,
👉শ্যামপরী (ইসলামিক গল্প)-
👉অপেক্ষা (ইসলামিক গল্প)-
👉আবৃত মুক্তা (ইসলামিক গল্প)-
কারো থেকে স্বান্তনা পেতে যাবেন না,
সম্ভব হলে মুখখানাও দুঃখী দুঃখী রাখবেন না।
নির্দিষ্ট সেই সময়টা পর দেখবেন,
ক’দিন আগে যা
আপনার কাছে মনে হয়েছিল অসম্ভব কষ্টের,
অসহনীয় যন্ত্রণার;
সেটাই এখন হালকা হয়ে গেছে৷
বাস্তবতা তো কঠিনই –
এমন দর্শন ঝেড়ে দেখবেন দিব্যি ভাল থাকা যায়।
এই যে থম মারা বললাম, এর নাম নির্লিপ্ততা।
এই নির্লিপ্ততার সাথে যদি যোগ হয় একটা জায়নামায, যন্ত্রণাকাতর চোখের দু’ফোঁটা অশ্রু আর শেষ রাতের কিছু ক্ষণ-তবে এর নাম সবর।
সবরের শুরুর কষ্টটা হয় প্রচণ্ড রকমের তীব্র।
এ তীব্র কষ্ট সবাই সইতে পারে না, কেবলমাত্র তারাই পারে যারা আল্লাহ মুখী!!
👉বেহেশতী আলোয় আলোকিত মন্দ মানুষ (ইসলামিক গল্প)-
👉আবু দাউদ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস-
👉সহীহ তিরমিজিঃ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস-
দেখুন না স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন,
‘তোমরা সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও।
এটা বেশ বড় বিষয়, তবে আল্লাহভীরু জন্য কঠিন নয়।
আল্লাহভীরু তারা যারা বিশ্বাস করে যে, তাদেরকে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে
হবে এবং তার দিকেই তাদের ফিরতে হবে।’
[সূরা বাকারাহ]
তাই এই তীব্র কষ্টের প্রতিদানটাও হয় বড়ই মিষ্ট।
সবরকারীদের স্থায়ী আবাস জান্নাত, যে জান্নাতে যাওয়ার পর আর কখনোই সবরের মত বিষয় আসবে না!!
وَاصْبِرُوا إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ.}
‘আর তোমরা ধৈর্য ধর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’
(সূরা আনফাল: ৪৬)
👉মিশকাতঃ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস-
👉খুবই মূল্যবান ৩০ টি ছোট হাদিস:-
👉রাসুল (সাঃ) এর চল্লিশটি হাদিস-