1)স্বামী ও স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা, গল্প করে,হাসি খুশি কথা বলে, তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা সেকেন্ডে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে নেকি লিখা হয়।
__আবু দাউদ ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)☆
2/রাসূল (সাঃ) বলেছেন –
কি’য়া’ম’তে’র দিন যে জিনিসটি মিজানের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র!
( আবু দাউদ – ৪১০১ )
3/”কোন খুশির খবর পেলে,
দুই রাকাত শুকরিয়ার নামাজ আদায় করা সুন্নাত”!
—-(আবু দাউদঃ ২৭৭৬)
4/.👉সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ,
হাদিস নং- ৫০৯১।
5/বান্দা যখন দোয়ার জন্য হাত উঠায়,
সে হাত খালি ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জা পান |
[আবু দাউদ ৩৩৭০]
6/রাসূল (সঃ) বলেছেন”জুমুআর দিনে আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করবে,কেননা দরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়”
আবু দাউদ:১৫৩১(ই.ফা.বা)
7/”হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তোমার জিকির, শুকরিয়া, কৃতজ্ঞতা এবং ইবাদত করতে সাহায্য করো।”💌
(আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২২)📖
8//আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক অতিশয় সুন্দর ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, সৌন্দর্য আমার অতি প্রিয়,
আর আমাকে সৌন্দর্য দান করা হয়েছে যা আপনি দেখছেন। এমনকি আমি এতটুকুও পছন্দ করি না যে জুতার ফিতা বা তার লাল অগ্রভাগের
সৌন্দর্যের দিক দিয়েও কেউ আমাকে অতিক্রম করে যাক। এটা কি অহংকার? নবী (সা.) বলেন, না; বরং অহংকার হলো সত্য থেকে বিমুখ হওয়া এবং
মানুষকে হেয়প্রতিপন্ন করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪০৯২)
9//হযরত আবদুল্লাহ (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই অভ্যাসগুলোর উপর আমলকারী কম হওয়ার কারণ কী ?
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, (কারণ এই যে) শ’য়’তান নামাযের মধ্যে এসে বলে,
অমুক প্রয়োজন বা অমুক কথা স্মরণ কর। অবশেষে তাকে বিভিন্ন খেয়ালে মশগুল করে দেয়, যেন এই কালেমাগুলো পড়ার কথা খেয়াল না থাকে।
আর বিছানায় এসে তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে। এইভাবে সে কালেমাগুলো না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে।
[সহীহ ইবনে হিববান, হা. ২০১২; সুনানে আবু দাউদ, হা. ৫০৬৭; জামে তিরমিযী, হা. ৩৪১০]
10//উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একবার মহানবী (সা.) আমাদের ফজরের নামাজ পড়িয়েছেন। সালাম ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন,
অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই। তারপর আরেকজনের নাম নিয়ে জিজ্ঞেস করেন, অমুক কি আছে? লোকেরা বলল, নেই।
তিনি বললেন, এ দুই নামাজ (এশা ও ফজর) মুনাফিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। তোমরা যদি জানতে যে এই দুই নামাজে কী পরিমাণ সওয়াব নিহিত রয়েছে,
তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে আসতে।
(আবু দাউদ, হাদিস : ৫৫৪)
11/মানব-নেতা, শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলতেনঃ
“হে আল্লাহ ! আপনার নিয়ামতের গণনা ততো আমি করতে পারবো না যতোটা আপনি নিজের নিয়ামতের বর্ণনা নিজেই দিয়েছেন”
অথবা “আপনার প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে আমি শেষ করতে পারবো না, যেমন আপনি নিজের প্রশংসা নিজে করেছেন।”
(সহীহ মুসলিম, আবু দাউদ)
12/রাসূল (সঃ) বলেছেন”জুমুআর দিনে আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করবে,কেননা দরুদ আমার নিকট পেশ করা হয়”
আবু দাউদ:১৫৩১(ই.ফা.বা)
13/আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘‘যে ব্যক্তি তোমাদের সাথে সদ্ব্যবহার করে, তোমরা তার উত্তম প্রতিদান দাও। প্রতিদান দেওয়ার মতো কিছু না পেলে তার জন্য দু‘আ করো,
যতক্ষণ না তোমরা অনুধাবন করতে পারো যে, তোমরা তার প্রতিদান দিতে পেরেছো।’’ [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৬৭২; হাদিসটি সহিহ]
.
14/কালেমা পড়তে পড়তে যার মৃত্যু হবে , সে জান্নাতে প্রবেশ করবে !!💗
_সুনানে আবু দাউদঃ৩১১৬
15/হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের প্রভু খুবই লজ্জাশীল। বান্দা যখন দোয়ার জন্য হাত উঠায়,
সে হাত খালি ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জা পান।’,,,,,, –সুনানে আবু দাউদ: ৩৩৭০
16/যে ব্যক্তি অন্যের জন্য দোয়া করে। ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করেন!
[আবু দাউদ :- ১৫৩৪]
17/রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।
(আবু দাউদঃ ৪১০১)
18/❝যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করে,আল্লাহ তাকে সর্বপ্রকার বিপদাপদ হতে মুক্ত করবেন,
সবরকম দুশ্চিন্তা হতে রক্ষা করবেন এবং তার জন্য এমন স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করবেন,যা সে কল্পনাও করতে পারেন না।❞
[সুনানে আবু দাউদ: ১৫১৮]
19/”হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তোমার জিকির, শুকরিয়া কৃতজ্ঞতা এবং ইবাদত করতে সাহায্য করো।”💌
(আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২২)📖
20//আবু সালি্হ (রহঃ) হতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক সহাবীর থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে বললেন, তুমি সালাতে কি দু‘আ পাঠ করো? লোকটি বললো,
আমি তাশাহহুদ (তথা আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি–) পাঠ করি এবং বলি আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযুবিকা মিনান নার।
কিন্তু আমি আপনার ও মু’আযের অস্পস্ট শব্দগুলো বুঝতে পারিনা।
(অর্থাৎ আপনি ও মু‘আয কি দু‘আ পড়েন তা বুঝতে সক্ষম হই না)।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমরাও তার আশে পাশে ঘুরে থাকি (অর্থাৎ জান্নাত পার্থনা করি)।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৭৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
21//আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আবদুল্লাহ …. আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোসল করে দুই রাকাত নামায আদার করতেন। অতঃপর তিনি ফজরের নামায পড়তেন। তাকে আমি গোসলের পর আর নতুনভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখি নাই। (তিরনিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
_____________[সূনান আবূ দাউদ, হাদীস নং-২৫০, অধ্যায় নং-০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
হাদীসের মান সহীহ