কবরের আজাব সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের ঘোষণা কি কি জেনেনিন
শুরুতেই কুরআন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে পড়তে ও জানতে। কুরআন অজ্ঞতাকে অভিহিত করেছে মহাপাপ রূপে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে জ্ঞানের পথে,
মুক্তবুদ্ধির পথে। এমনকি বিশ্বাসের স্তরে পৌঁছার জন্যেও মানুষের সহজাত বিচার বুদ্ধির প্রয়োগকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে কুরআন।
বৈষয়িক ও আত্মিক জীবনকেও একই সূত্রে গেঁথেছে কুরআন। সুস্পষ্টভাবেই বলেছে, আল্লাহর বিধান অনুসরণ করো। দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি সম্মানিত হবে। বিপথগামী হলে আজাব (শাস্তি)
কেমন হবে সেটাও কুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
যারা সত্য অস্বীকার করেছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে,
পাপে নিমজ্জিত হয়ে সত্যের প্রতি কর্ণপাত করেনি তাদেরকেই আল্লাহর আজাব গ্রাস করবে। যারা বিশ্বাসের সঙ্গে সৎকর্ম করেছে কেবল তারাই সব ধরনের সুফল উপভোগ করবে।
কুরআনে কবরের আজাব (শাস্তি) সম্পর্কে আল্লাহ যা বললেন : ‘(হে নবী! ওদের) বলো,
আল্লাহ ইচ্ছে করলেই ঊর্ধ্বলোক বা জমিনের গভীর থেকে তোমাদের ওপর আজাব পাঠাতে পারেন,
অথবা তোমাদের বিভিন্ন দলে ভাগ ও সংঘাত সৃষ্টি করে একে অপরের আতঙ্কের স্বাদ গ্রহণ করাতে পারেন। (হে মানুষ!) দেখ,
একটা বাণীকে আমি কতভাবে ব্যাখ্যা করে তোমাদের কাছে উপস্থাপিত করছি, যাতে জীবনের নিগূঢ় সত্যকে তোমরা উপলব্ধি করতে পারো। (সূরা আনআম ৬৫)
‘কত (অবাধ্য পাপভারাক্রান্ত) জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি! সেখানে আমার আজাব নাজিল হয়েছে হঠাৎ করে,
কখনো রাতে আবার কখনো বা দুপুরে দিবানিদ্রা উপভোগ করার সময়। যখন আমার আজাব ওদের ওপর নেমে এসেছিল,
তখন ওদের মুখে কোন কথা ছিল না। শুধু ওরা আর্তনাদ করে বলে উঠেছিল, হায়! ‘নিশ্চয়ই আমরা সীমালঙ্ঘন করেছিলাম।
(সূরা আরাপ ৪-৫)
ওরা কি সত্যিই মনে করে যে, আল্লাহর সর্বগ্রাসী আজাব থেকে বা ওদের অজান্তেই কেয়ামতের আকস্মিক উপস্থিতি থেকে ওরা নিরাপদ?
(সূরা ইউসুফ ১০৭)
পাপে নিমজ্জিতদের অন্তরে সত্যের প্রতি কর্ণপাত না করার অভ্যাস সৃষ্টি হয়। আসলে ভয়ঙ্কর আজাব প্রত্যক্ষ না করা পর্যন্ত ওরা বিশ্বাস করে না।
আর এই ভয়ঙ্কর আজাব অকস্মাৎ আপতিত হয় ওদের ওপর। তখন ওরা আর্তনাদ করে বলে, ‘আমাদেরকে কি একটা সুযোগ দেয়া হবে না? (সূরা শু’আরা ২০০-২০৩)
ওরা তোমাকে আল্লাহর শাস্তি ত্বরান্বিত করার জন্যে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে? দিক! আল্লাহ যদি শাস্তির জন্যে সময় নির্ধারিত করে না রাখতেন,
তবে অনেক আগেই আজাব ওদের গ্রাস করত! অবশ্যই আকস্মিকভাবে অসতর্ক অবস্থায়ই আজাব ওদের গ্রাস করবে।
(সূরা আনকাবুত ৫৩)