আরাফার দিন কি কি আমল করবো ?
আরাফার দিনে করনীয় আমলগুলো হল:
১. এদিন সুন্নতি রোজা রাখব। যা আগত ১ বছর
এবং বিগত ১ বছরের ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দিবে।
২. সকালে জামাতে ফজর নামাজ পড়বো।
প্রতি ওয়াক্তেই জামাতে নামাজ পড়ব সব সময়।
৩. এদিন থেকে ফরজ সালাতগুলির পর নির্ধারিত তাকবীর
পাঠ করবো। যা ১৩ জিলহাজ্জ মাগরিব পর্যন্ত চলবে।
তাকবীর :
আল্লহু আকবর আল্লহু আকবার
লা~ ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াল্লহু আকবর আল্লহু আকবার
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
৪. সূর্যদোয়ের ১৫-২০ মিনিট পর ইশরাকের নামাজ পড়ব,
চাশতের নামাজ পড়বো এবং যথাসম্ভব সালাতুল
হাজতের নামাজ পড়বো।
৫. বেশি বেশি জিকির ইস্তেগফার তাসবিহ তাহলীল দুরুদ
পাঠ করব।
-তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ),
-তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ),
-তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও
-তাকবীর (আল্লাহু আকবার)
-ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লহ)
৬. দরুদ পাঠ এবং বেশি বেশি কুরান তিলাওয়াত করব।
৭. গোপনে দান সাদকা করবো যা সামর্থ্য আছে।
৮. জোহর থেকে আসরের মধ্যে আরাফার দিনের দুয়াটা
বেশি বেশি পড়বো।
আরাফাতের দিনে দো‘আ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
[তিরমিযী নং ৩৫৮৫]
কুরআনের এই আয়াত দুটি আমাদেরকে বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট
“যখন উহাদের কাহারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন সে বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় প্রেরণ কর।
“যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা আমি পূর্বে করি নাই।’ না, ইহা হইবার নয়। ইহা তো উহার একটি উক্তি মাত্র। উহাদের সম্মুখে বারযাখ থাকিবে উত্থান দিবস পর্যন্ত।
সুরা আল মুমিনুন:-৯৯,১০০