বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
( শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু )
ফিরে আসুন আল্লাহর পথে
যে ব্যক্তির মনে এ কথা একবার ঢুকে যাবে, এ দুনিয়া তার বাড়ি নয়, জীবনটা তার এমনিতেই সাদাসিদে হয়ে যাবে। কোন কিছুর প্রতি খুব বেশি আকর্ষন থাকবে না, কিছু না পেলে তেমন কোন আফসোসও হবে না।
যে জানবে, কবরে তাকে একাই থাকতে হবে। জবাবদিহিতার মুখে সে একাই পড়বে। কেউ এসে তাকে সাহস দিয়ে যাবে না। অভয় দেয়ার মত থাকবে না কেউ
– দুনিয়ার জীবনে কে দূরে সরে গেল, কেই বা কাছে এলো, এসব নিয়ে তার খুব একটা মাথা ব্যাথা হবে না। আপন পর হবে, পর আপন হবে, পৃথিবীর এ স্বাভাবিক নীতিতে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে সহজেই।
যে বিশ্বাস করবে, কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে তাকে তার আমল নিয়ে প্রশ্ন করা হবে, কতটুকু নিখুঁত ছিল সেগুলো, দেখা হবে তা – অপরের দোষত্রুটি নিয়ে পড়ে
থাকার সময় হবে না তার। নিজের উন্নতির ফিকির তার সবচেয়ে বেশি হবে, অপরের ভুলের তুলনায় নিজের দূর্বলতাগুলোই তার চোখে পড়বে বেশি।
“বুদ্ধিমান হল ঐ ব্যক্তি যে নিজের হিসাব নিজে করে আর মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে। আর অক্ষম হল ঐ ব্যক্তি যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে ও আল্লাহ ব্যাপারে অনেক ধরনের আশা আকাংখা পোষণ করতে থাকে।”
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ ও জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, “ আগুন যেভাবে স্বর্ণ,
রৌপ্য ও লোহা থেকে খাঁদ দূর করে,
তেমনি যদি তোমরা তোমাদের দারিদ্রতা ও পাপ মোচন করতে চাও তাহলে তোমরা পর পর হজ্জ ও উমরাহ পালন কর”।
(তিরমিযী, নাসাঈ)
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
“হাজরে আসওয়াদ জান্নাত থেকে অবতীর্ণ হয়েছে।তখন তা দুধের চেয়েও সাদা ছিল।
পরবর্তীতে আদম সন্তানের পাপ
তাকে কালো করে দিয়েছে”
তিরমিযী ৮৭৭