প্রিয় ভাই ও বোনেরা নেকি লুটে নিন
সূরা ইখলাস পাঠ করে।
সুরা ইখলাসের ফজিলত:
১. রাসুলুল্লাহ ﷺ সূরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের
সমান।’ (মুসলিম ৮১২, তিরমিযী ২৮৯৯, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৭, আহমাদ ৯২৫১)
২. রাসুলুল্লাহ ﷺ সাহাবীগণকে বললেন, ‘তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা’?
প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তারা বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রসুল! ﷺ এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)
তিনি ﷺ বললেন, “কুল হুআল্লাহু আহাদ”, আল্লাহুস স্বামাদ’ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের
সমান।’ (অর্থাৎ এই সূরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
(সহী বুখারী ৫০১৫, নাসায়ী ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯)
৩. এক সাহাবী এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল!ﷺ আমি এই (সূরা) “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ভালবাসি।’
তিনি বললেন, ‘এর ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ (বুখারীর ৭৭৪নং হাদীসের পরবর্তী অধ্যায়, তিরমিযী ২৯০১, আহমাদ ১২০২৪)
৪. আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সাহাবিকে একটি সংগ্রামী দলের আমীর করে আল্লাহর রাস্তায় লড়াইয়ের জন্য পাঠালেন।
তিনি যখন নামাজে ইমামতি করতেন, তখনই (প্রত্যেক রাকআতে সূরা পড়ার পর) ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) দিয়ে (কিরাআত) শেষ করতেন।
সংগ্রামীগণ সেই অভিযান থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবি ﷺ এর খিদমতে বিষয়টি আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, سَلُوهُ لأَيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذٰلِكَ؟ ‘তাকে জিজ্ঞাসা কর,
কেন সে এ কাজটি করেছে?’ সুতরাং তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বললেন, لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمٰنِ فَأَنَا أُحِبُّ أنْ أقْرَأ بِهَا ‘এই সূরাটিতে পরম করুণাময় (আল্লাহ)র গুণাবলী রয়েছে।
এই জন্য সূরাটি তেলাওয়াত করতে আমি ভালবাসি।’ তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, أخْبِرُوهُ أنَّ اللهَ تَعَالَى يُحِبُّهُ ‘তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাআলাও তাকে
ভালবাসেন।’ (বুখারি ৭৩৭৫, মুসলিম ৮১৩, নাসায়ি ৯৯৩)
ইয়া আল্লাহ্ আমাদের সবার নেক আমল গুলো কবুল করে নিন, আমিন।