২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস
১)👉নবীজি বলেন,”জ্বর আসে জাহান্নামের তাপ থেকে!সুতরাং,জ্বর কে পানি দ্বারা প্রশমিত কর!
—�(সহীহ বুখারী,, খন্ড: ৭:অধ্যায় ৭১:হাদিস ৬২১)
২)👉নবীজি বলেন,”যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার!
—�”(সহীহ বুখারী, ৪:৫৪:৫৩৭)
৩)👉নবীজি বলেন,কালোজিরা আস- সামস ব্যতিত সর্বরোগের ঔষধ! আয়েশা জিজ্ঞেস করেন,আস- সামস কি?নবীজি উত্তরে বলেন,মৃত্যু!
—�—� “(সহীহ বুখারী ৭:৭১:৫৯১)
৪)👉নবীজি বলেন,”যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে!
—�-“(সহীহ বুখারী ৭:৬৯:৫৩৮)
৫) 👉নবীজি বলেন,”জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,”হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,
একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকলে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ!
—�-“(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৮২)
৬)👉নবীজি বলেন,”আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!
—�-“(সহীহ বুখারী ৮:৭৩:২৪২)
৭)👉নবীজি বলেন,”ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ
এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
—�-“(সহীহ বুখারী ৯:৮৭:১১৫)
৮)👉আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে!
—�-“(সহীহ বুখারী ২:২১:২৪৫)
৯)👉নবীজি বলেন,”তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।
—�-“(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৯৪)
১০)👉 নবীজি বলেন,,”যে ব্যক্তি প্রতি সকালে ৭ টি আজওয়া খেজুর খায়,তার ওপর বিষ ও জাদু কোন প্রভাব ফেলতে পারেনা!
—�—”(সহীহ বুখারী ৭:৬৫:৩৫৬)
# হে আল্লাহ আপনি আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দিন। আমীন
11👉.রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি যখন শয্যা গ্রহণ করবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়বে। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বদা তোমার জন্য একজন রক্ষক থাকবে এবং
সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩১১)
12👉.রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, গোটা রাতের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)
13👉.🔘ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে হুকুম দেয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে ল–ড়া–ই করতে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে,
আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল।
আর তারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। যদি তারা এরূপ করে তবে তারা আমার হাত থেকে নিজেদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে নেবে,
অবশ্য ইসলামের হক যদি তা দাবী করে তবে আলাদা কথা; আর তাদের হিসাব নেয়ার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ন্যস্ত। [বুখারীঃ ২৫, মুসলিমঃ ২২]
14👉.রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“তোমাদের কাছে ফেরেশতারা পালাক্রমে আগমণ করে থাকেন দিবসে ও রজনীতে। ফজর ও আসরের সালাতের সময় উভয় দলের মিলন ঘটে।
রাত্রে অবস্থানকারী ফেরেশতাগণ রাত্রি শেষে আকাশে উঠে যান। বান্দাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন:
তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তারা উত্তরে বলেন: আমরা তাদের কাছে আগমণের সময় সালাতের অবস্থায় তাদেরকে পেয়েছি এবং
বিদায়ের সময়ও তাদেরকে সালাতের অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। (সহীহ বুখারী হা: ৫৫৫)
15👉.প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান
‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- 48
16.👉প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২।
17👉.প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮।
সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার
এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া
হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।
18👉.প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯,
সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।
19.👉রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫৬
20.👉সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ,
হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করে,
তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)
21.👉সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।
22.👉সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।
23👉.হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে অজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করে,
তার এ নামাজ আগের সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।
_____(মুসলিম হাদিস-(২২৮)মিশকাত হাদিস-(২৮৬)
24👉 মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী ,
যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।”
তাবরানী ১০৮৬, সুনানে তিরমিযি ৩৬০, হাকেম,
সিলসিলা ছহীহা ২৮৮।
25👉মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”
ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী।