জান্নাতের বিশাল বিশাল নিয়ামতের কিছু বর্ণনা
জান্নাতের একশতটি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মাঝে আসমান-যমীনের সমান ব্যবধান বর্তমান। ফিরদাউস হচ্ছে সবচেয়ে উঁচু স্তরের জান্নাত, সেখান থেকেই
জান্নাতের চারটি ঝর্ণা প্রবাহিত হয় এবং এর উপরেই (আল্লাহ্ তা’আলার) আরশ স্থাপিত। তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করার সময় ফিরদাউসের প্রার্থনা করবে।( তিরমিজি-২৫৩১-সহীহ)
জান্নাতের তাঁবুগুলো মণি-মুক্তার তৈরি হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে ঊর্ধাকাশের দিকে ষাট মাইল।
এর প্রত্যেক কোণে মু’মিনদের সহধর্মিণীগণ থাকবে। তবে পরস্পর একে অপরকে দেখতে পাবে না। ( মুসলিম-৭০৫২-সহীহ)
জান্নাতবাসীগণ জান্নাতের সুউচ্চ বালাখানাসমূহ দেখতে পাবে, তোমরা যেমন আকাশের তারকারাজি দেখে থাকো।(মুসলিম-৭০৩৩-সহীহ)
জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় একজন আরোহী একশ’ বছর পর্যন্ত সফর করতে থাকবে। (মুসলিম-৭০২৮-সহীহ)
জান্নাতের প্রতিটি গাছের কাণ্ডই স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত। (তিরমিজি-২৫২৫-সহীহ)
জান্নাতবাসীগণ জান্নাতে পানাহার করবে। তবে থু-থু ফেলবে না, প্রস্রাব-পায়খানা করবে না এবং নাকও ঝাড়বে না। এ কথা শুনে সহাবাগণ বললেন,
তবে ভক্ষিত খানা যাবে কোথায়? উত্তরে তিনি বললেন, এক ঢেকুরে শেষ হয়ে যাবে। তাদের শরীরের ঘাম মিশ্কের মতো সুঘ্রাণযুক্ত হবে।
আল্লাহর পবিত্রতা এবং প্রশংসা তাদের অন্তঃকরণে এভাবে দেয়া হবে যেভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হয়।(মুসলিম-৭০৪৪-সহীহ)
জান্নাতের মধ্যে পানি, মধু, দুধ ও মদের সমুদ্র আছে। এগুলো থেকে আরো ঝর্ণা বা নদীসমূহ প্রবাহিত হবে।(তিরমিজি-২৫৭১- সহীহ)
পর্দা খুলে যাবে (এবং আল্লাহ্ তা‘আলার সাক্ষাৎ সংঘটিত হবে)। তিনি বলেন, আল্লাহ্র কসম!
তিনি মানুষকে তাঁর সাক্ষাতের চেয়ে বেশি পছন্দনীয় ও আকাঙ্ক্ষিত কোন জিনিসই প্রদান করেননি। (তিরমিজি -২৫৫২ সহীহ)
রাসূল (সাঃ) বলেন,
যেখানেই নামাজের সময় এসে উপস্থিত হবে সেখানেই তোমরা নামাজ আদায় করে নিবে”
——( সহীহ -বোখারী -৩২৪৩)——-