জাহান্নামের তাপমাত্রা কত?
পর্ব-০১
কোরআন,হাদীসে পাওয়া যায়, জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে জাহান্নামের তলদেশে পৌঁছাতে ৭০ বছর সময় লাগে।
বিচারের দিন জাহান্নামকে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে, যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন অর্থাৎ ৪৯০ কোটি ফেরেশতা।
তাদের এক একজন ফেরেশতার এতো বেশি শক্তি থাকবে যে, তারা এক হাতে দুনিয়া উল্টিয়ে দিতে সক্ষম। জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
জাহান্নাম ক্ষুধায় চিৎকার করতে থাকবে, বলবে আরো মানুষ দাও আরো মানুষ দাও তখন আল্লাহ্ তায়ালা তার ডান পা জাহান্নামে ঢুকিয়ে দিবেন।
তখন জাহান্নাম বলবে” যথেষ্ট যথেষ্ট আমার ক্ষুধা মিটেছে।।
জাহান্নাম বাসীর শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরু করে দেওয়া হবে, যাতে করে অত্যন্ত ভয়াবহ হয়।
তাদের শরীর আরও থাকবে তিল যার এক একটি হবে উহুদ পাহাড়ের সমান, যার দৈর্ঘ ৮ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৪ কিলোমিটার।
জাহান্নাম বাসীর বসার জায়গা হবে মক্কা থেকে মদীনা পযর্ন্ত দূরত্বের সমান অর্থাৎ ৩৫০ কিলোমিটার। জাহান্নামীদের উরু হবে” বাইজা পাহাড়ের সমান অর্থাৎ ৩৯ কিলোমিটার।”
প্রতিদিন জাহান্নামের আজাব পূর্বের দিন থেকে আরো তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে অর্থাৎ এমন হবে যে,
জাহান্নামের আজাব ভোগ করতে করতে জাহান্নামীরা অভ্যস্ত হয়ে যাবে, প্রতিদিন তা দ্বিগুন থেকে ৭৯ গুন করা হবে।
জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটাযুক্ত গাছ, পানীয় হবে ফুটন্ত পানি, পুঁজ, পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ,উত্তপ্ত তেল। এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশি হবে যে,
তারা এই পানীয় পান থাকবে। এতে তাদের নারী, ভুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। যতোবার চামড়া ঝলসে যাবে ততবারই নতুন চামড়া লাগানো হবে।
জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে। জাহান্নাম বাসীরা একপর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে
তাদেরকে লৌহ হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।
[মুসলিম হাদীস নং:৬৯২২]
[মুসলিম হাদীস নং:৬৯২৮]
[মুসলিম হাদীস নং:৬৯৭৯]
আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত,, তিনি এ হাদীসটুকু সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে রিওয়ায়েত করেন। রাসুল (সাঃ) বলেছেন,
জাহান্নামের কাফিরের দেহ এতো বেশি বিশাল হবে যে, তার দু’কাধের দুরুত্ব তিন দিনের রাস্তা বরাবর হবে যতদুর একজন দ্রুতগামী অশ্বারোহী অতিক্রম করতে পারে। [মুসলিম শরিফ ৬৯৮০ নং হাদীস ]
আসলে মানুষ যদি এক্টু চিন্তা করে আমি যদি এই মুহূর্তে মারা যাই তাহলে আমাদের কী হবে? আমি কোথায় যাবো চিরসুখের জান্নাতে নাকি,
কঠিন আযাবের জাহান্নামে! আমারা সাধারণত যদি এক্টু খেয়াল করি, সামান্য রোদ বেশি হলে সেই তাপ আমারা সহ্য করতে পারি না,
আবার এক্টু বেশি শীত হলে সেটাও সহ্য করতে পারি না! তবে জাহান্নামের আগুন কীভাবে সহ্য করবো! আমাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য এতটুকু চিন্তাই যথেষ্ট।
আল্লাহপাক রব্বুল আলামিন আমাদেরকে তার দ্বীনের পথে পরিচালিত করে জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দান করুন। আমীন।।