ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ কিছু উক্তি
”রাতের অন্ধকারে যখন তুমি তোমার রবের দরবারে কিছু চাইতে বসবে; তখন সেই শিশুর মতে হয়ে যাও,
যে কোনো কিছু পাওয়ার জন্য একবার বায়না ধরলে সেই জিনিসটি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অনবরত কান্নাকাটি করতেই থাকে।”
– ইমাম আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)
“এই পৃথিবীর ব্যথা যদি তোমায় ক্লান্ত করে দেয়, তবে দুঃখ কোরো না। কেননা এমনটা হতে পারে যে, আল্লাহ তোমার (ব্যাকুল) কণ্ঠ শুনতে চান, তোমার দু’আর মাধ্যমে।
তাই তোমার প্রবৃত্তিকে ঢেলে দাও সিজদাতে এবং ভুলে যাও তা। আর মনে রেখো- আল্লাহ্ তা’আলা কখনো ভুলে যান না।”
~ ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ
এজন্য আমাদের সালাফগণ বলেছেন, “সর্বাধিক উত্তম দু’আ হলো সেটি, যেটিতে ব্যক্তি কাকুতি-মিনতি করতেই থাকে।”
প্রিয় ভাই-বোনেরা! আমাদের আদি পিতা-মাতার মূল বাসস্থান ছিলো জান্নাত। সেখানেই তাঁরা থাকতেন।
তাঁদের ভুলের কারণে শাস্তিস্বরূপ তাঁদের দুনিয়াতে পাঠানো। সেই দুনিয়ায় আমরা খুব সুখে-শান্তিতে থাকব,
সেটা কীভাবে সম্ভব? এই দুনিয়াকে বানানোই তো হয়েছে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য।
তবে হ্যাঁ, শত দুঃখ-কষ্ট, মুসিবতের মাঝেও কেউ যদি ঈমানকে পাকাপোক্ত করে আল্লাহর আনুগত্যে এবং যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে সুশোভিত করে জীবন পরিচালনা করতে পারে,
তবে সে প্রশান্তিময় একটি জীবন লাভ করবে। হয়ত তার জীবনে অনেক মুসিবত এবং পরীক্ষা থাকবে, তবে সে হৃদয়ের প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ থাকবে।
ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “দুনিয়াতে একটি জান্নাত আছে। যে তাতে প্রবেশ করতে পারবে না,
সে আখিরাতের জান্নাতেও প্রবেশ করবে না। দুনিয়ার সেই জান্নাত হচ্ছে আল্লাহর যিকির, তাঁর আনুগত্য, তাঁর সাথে সম্পর্ক এবং তাঁর প্রতি আগ্রহ।”
অতএব, আসুন দুনিয়ার সেই জান্নাতে বিচরণ করি, একটি প্রশান্তিময় জীবন লাভ করি। আল্লাহ্ আমাদের তাওফিক দিন।