বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
( শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু )
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর ফজিলত:
❝ لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله ❞
(অর্থ: আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই)
ফজিলত:
১. রাসুল সাঃ বলেছেন, কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান হবে ওই ব্যক্তি, যে একনিষ্ঠচিত্তে لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله বলে। [বুখারী, ইফা, হা/৯৯]
২.রাসুল সাঃ বলেছেন, সর্বোত্তম জিকির
হচ্ছে لا إله إلا الله বলা। [তিরমিজি, হা/৩৩৮৩]
৩.রাসুল সাঃ বলেছেন, আসমান এবং জমিনে যা কিছু আছে তা যদি এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” রাখা হয়,
তাহলে উক্ত কালিমার পাল্লা ভারি হবে ইনশাআল্লাহ।[ মুসনাদে আহমাদ,মাশা. হা/৬৫৮৩]
৪.রাসুল সাঃ বলেছেন, তোমাদের মৃত্যু পথযাত্রীকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর তালক্বীন দাও।
কেননা যে ব্যক্তির মৃত্যুর সময় শেষ কথা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজি, হা/৯৭৬]
আল্লাহ তা’য়ালা যেন মৃত্যুর সময় বলার তৌফিক দান করেন আমিন।
মহানবী রসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
তোমরা কোরআন তেলাওয়াত করো কেননা কেয়ামতের দিনে সে তার
তেলাওয়াত কারীদের জন্য সুপারিশ কারী হবে।
(মুসলিম ১৯১০)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
‘আব্দুল্লাহ বিন মাস’ উদ কর্তৃক বর্ণিত:
নবী মুহাম্মদ (তাঁর উপর আল্লাহর শান্তি ও আশীর্বাদ) বলেছেন:
′′ দুটি ক্ষেত্রে ছাড়া আর কারো মত হতে চাই না ।
(প্রথম হল) একজন ব্যক্তি ~ যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন এবং সে তা সৎভাবে ব্যয় করে!
(দ্বিতীয়টি হল) ~ আল্লাহ যাকে জ্ঞান দিয়েছেন (পবিত্র কোরআন) এবং সে তা অনুযায়ী কাজ করে এবং অন্যদের শিক্ষা দেয় ।.” (ফতেহ-আল-বারী পৃষ্ঠা 177 খন্ড । 1)
সহীহ-বুখারী খন্ড 1, কিতাব 3, সংখ্যা 73
ইয়া আল্লাহ্ আমাদের সবার নেক আমল গুলো কবুল করে নিন, আমিন।