আল্লাহর রহমতের এবং কল্যাণের দরজা কখনো বন্ধ হয় না
সকল দরজা বন্ধ হয়ে গেলেও আল্লাহর রহমতের এবং কল্যানের দরজা কখনোই বন্ধ হয় না; জীবনে চলার পথে একটি দিকের দরজা বন্ধ হলে, আল্লাহ তা’য়ালা অন্যান্য দিক দিয়ে অনেকগুলো দরজা খুলে দেন।
যখনই বিপদাপদ আসে, আমরা অস্থির হয়ে যাই। প্রথমেই আমরা দিকবিদিক ঘুরে ফিরি সমাধানের জন্যে; কিন্তু একটিবারও আল্লাহর কাছে এবং আল্লাহর পথে সমাধান চাই না।
সবার শেষে আল্লাহ কে স্মরণ নয়, বরং সবার প্রথমে এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরনে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন; পরকালে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।
● হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (বাকারাহ:২১৬)
● আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন তা আটকে রাখার কেউ নেই। আর তিনি যা আটকে রাখেন, তারপর তা ছাড়াবার কেউ নেই। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (ফাত্বির:২)
● আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন। (বাকারাহ:৪৫)
● হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। (বাকারাহ:১৫৩)
● আর এ জন্যই “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোন বিষয়ে সমস্যায় পড়তেন বা চিন্তাগ্রস্ত হতেন তখনই তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন”। (মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৮৮)
দুঃখকষ্ট জীবনে আসবে এটাই স্বাভাবিক তাই বলে নিরাশ হয়ে এদিক-সেদিক ঘুরলেই কি সমাধান আসবে? কখনোই নয়। হতাশা নয়, মনক্ষুন্নতাও নয়,
সুন্নাহভিত্তিক আমল করুন।
নিয়মিত ফরয সালাত আদায় করুন,
কুরআন তিলাওয়াত করুন,
উঠতে-বসতে যিকর করুন,
দান করুন,
রোযা রাখুন,
তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস করুন,
নিয়ত বিশুদ্ধ রাখুন,
সর্বদা আল্লাহ সম্পর্কে সুধারনা রাখুন,
আল্লাহ তা’য়ালা তাওফীক দিন। আমীন।