1)যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা
ভাত খাইয়ে দিবে,
আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন। এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা
ভাত খাইয়ে দিবে, আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন। এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১০০০ নেকি উভয়ের আমলনামায় দান করবেন।
— মুসলিম শরীফ.☆
2)যে সন্তান তার পিতামাতার
ভরণ পোষন করবে বা সেবা করবে,
এবং নিজ স্ত্রীর ইজ্জতের হেফাজত করবে তাদের জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
— মুসলিম শরীফ
3/প্রতি সোমবার ও প্রতি বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ~হযরত মোহাম্মদ সাঃ
(সহীহ মুসলিম৬৪৩৮)
4/পুরুষদের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা নারী।
মুসলিম -৬৮৩৯।
5● রাসূল(সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দা*জ্জা*লের ফে*তনা থেকে হেফাজত থাকবে।”
[ সহীহ মুসলিম : ৮০৯ ]
6/বান্দা যখন “সূরা ফাতিহা” পাঠ করে, 💖💖
তখন প্রতিটি আয়াতের জবাব আল্লাহ তাআলা নিজে দেন !💔❤
______{মুসলিম-৯০৪}
7👉.প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮।
সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার
এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া
হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।
8.👉সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।
9👉.হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে অজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদার মাধ্যমে নামাজ আদায় করে,
তার এ নামাজ আগের সব গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।
_____(মুসলিম হাদিস-(২২৮)মিশকাত হাদিস-(২৮৬)
10। যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু’আ করে, তখন ফেরেশতাগণ বলেন, আমীন, এবং তোমার জন্যও অনুরুপ হবে। – সহীহ মুসলিম
11। কেউ সওয়াল থেকে পবিত্র থাকতে চাইলে আল্লাহ্ তাকে পবিত্র রাখেন। যে অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহ্ তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন এবং যে ধৈর্য ধারণ করতে চায়,
আল্লাহ্ তাকে তাই দান করেন। ধৈর্যের চায়ে অধিক ব্যাপক কিছু দান করা হয়নি। – সহীহ মুসলিম
12। যে ব্যক্তি উযূ করে এবং উযূকে পূরণাংগরুপে সম্পন্ন করে,তারপর কালেমা শাহাদাত পাঠ করে,তার জন্য জান্নাতের ৮(আট)টি দরজা খুলে যায় ।
সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে । – সহিহ মুসলিম
13। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলাও তার ত্রুটি গোপন রাখবেন। – সহীহ মুসলিম
14.প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান
‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- 48
15/রাসূল (সাঃ) বলেছেন,,মৃত্যুর পর তিনটি আমল ব্যতীত সব আমল বন্ধ হয়ে যায়।
১। সাদকায়ে জারিয়াহ
২। উপকারী জ্ঞান
৩। সুসন্তান যে তার জন্য দু’য়া করে।
~(সহীহ মুসলিম:১৬৩১)
16। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়। -সহীহ মুসলিম
17। ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে সালাত ছেড়ে দেওয়াই হচ্ছে ব্যবধান। – সহীহ মুসলিম
18। যে ব্যক্তি মারা গেল অথচ জিহাদ করেনি এমনকি জিহাদের আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করেনি, সে মুনাফিকের ন্যায় মৃত্যুবরণ করল। -সহীহ মুসলিম
19। কালিজিরায় মৃত্যু ছাড়া আর সকল রোগের চিকিৎসা রয়েছে। – মুসলিম
20। যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে শহীদি মৃত্যু কামনা করে, আল্লাহ্ তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছিয়ে দিবেন, যদিও সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। – সহীহ মুসলিম
21। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সওয়াব পাওয়া যায়। – মুসলিম ও তিরমিযী
22/যে ব্যক্তি এশা ও ফজরের সালাত জামাতের সাথে আদায় করলো,
সে যেন সারারাত ইবাদতে কাটালো।
(সহীহ মুসলিম: ১৫২৩)
23/রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি ভালো কাজের পথ দেখাবে সে তাঁর প্রতিটি আমলের সমান নেকি পাবে।
____ (সহীহ মুসলিম-১৮৯৩)
24//”যে তার ভাইয়ের বিপদে এগিয়ে আসে আল্লাহ তার বিপদে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।”
🌺আলহামদুলিল্লাহ🌺
(-সহীহ মুসলিম -২৬৯৯)
25//সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুম্মা’র দিন সর্বোত্তম!
(সহীহ্ মুসলিম – ৮৫৪)
🌿
26//রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন— সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমুআর দিনই সর্বোত্তম। এ দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে, জুমুআর দিনই কিয়ামত সংঘটিত হবে। [সহীহ মুসলিম : ১৮৬২]
27//জুমআর দিন হাদীস থেকে দো‘আ কবুল হওয়ার দু’টি সময়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। ক.ইমাম ছাহেবের মিম্বারে বসা থেকে নিয়ে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত [1] খ.আছরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডোবা পর্যন্ত [2]
তথ্য সূত্র:
[1] মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৭-৫৮ [2] মিশকাত হা/১৩৬০
28//প্রতি সোমবার ও প্রতি বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ~হযরত মোহাম্মদ সাঃ
(সহীহ মুসলিম৬৪৩৮)
29//রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে সুখে থাকার একটা ট্যেকনিক শিখিয়ে দিয়েছেন। সেটা হলোঃ “তাদের দিকে তাকাও, যাদের তোমাদের চেয়ে কম আছে।
তাদের দিকে তাকিও না, যাদের তোমাদের চেয়ে বেশি আছে। কেননা, আল্লাহর নিয়ামতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তমপন্থা।” [সহীহ মুসলিম, ৭৩২০]