নবদম্পতির জন্য দোয়া বনাম ধান-দূর্বার আশীর্বাদ!!!
নবী (সাঃ) বলেছেন একটা কালো পাথরের উপর কালো পিঁপড়া হেঁটে গেলে যেমন বোঝা যায় না, তেমনি আমাদের জীবনে শিরক এমন ভাবে জড়িয়ে যাবে, আমরা বুঝতেই পারবো না ।
প্রাচীন ‘আর্যসমাজে’ ধান ছিল ধনের প্রতীক। অন্যদিকে দূর্বা হচ্ছে দীর্ঘায়ুর প্রতীক। দূর্বা সহজে মরে না, প্রচণ্ড রোদ বা বর্ষায় পঁচে গেলেও আবার দূর্বা বেঁচে ওঠে।
আর এই কারনে দূর্বার আরেক নাম অমর। তাই সনাতন ধর্মীয় রীতিতে ধান-দূর্বা মস্তকে দেয়ার অর্থ সম্পদশালী হও ও দীর্ঘায়ু লাভ কর।
আর আমাদের নবী(সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন সমস্ত রহমত বরকত আসে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে । স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টির কাছে কোন কিছু চাওয়াটাই হল শিরক । সুতরাং কোন কিছু চাইতে হলে একমাত্র আল্লাহ তাআলার কাছেই চাও ।
বিবাহ শুধু আত্মীয়তা বন্ধনেই নয় বরং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত । আর আমরা বিবাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আল্লাহ ব্যতীত তাঁর নগণ্য সৃষ্টি ‘ধান’ ও ‘দূর্বা’র মাধ্যমে নবদম্পতির মঙ্গল কামনা করি ! ছিঃ এর থেকে নোংরামো, ভ্রষ্টতা, দুর্গতি মুসলমানদের আর কি হতে পারে ! প্রিয় বন্ধুরা এতে করে আল্লাহতায়ালা কখনোই খুশি হন না । কি করে আমরা শিরকের মাধ্যমে আল্লাহতালার রহমত আশা করি ?
ইসলাম আমাদের কাছে আছে কিন্তু ইসলামের শিক্ষা আমাদের মধ্যে নেই ! আসুন আমরা সমাজ থেকে এইসব শিরক বর্জন করি । আর নবদম্পতির মঙ্গলের জন্য দোয়া করি সেই পদ্ধতিতে যা নবীজি করতে নির্দেশ দিয়েছেন-
নব দম্পতির জন্য দোয়াঃ
‘‘বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খাইরিন’’
অর্থ : ‘আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমাদের উভয়ের প্রতি বরকত নাজিল করুন এবং তোমাদের কল্যাণের সঙ্গে একত্রে রাখুন।(তিরমিজি, মিশকাত)