বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
( শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু )
নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
ইসলামে আমাদের পবিত্র কুরআন এ অনেক বর্ণনার ও আয়াত অসংখ্যক সুন্দর ইসলামিক প্রার্থনা রয়েছে।
এরা সবাই ইঙ্গিত করে যে আল্লাহ পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন,
“এবং যখন আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে, তখন অবশ্যই আমি খুব নিকটেই আছি , যখন প্রার্থী
আমাকে ডাকে তখন আমি তার প্রার্থনার জবাব দিই, যাতে তারা আমার আহ্বানের উত্তর দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে। “
নামাজ (সালাত) আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের দৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,‘আদম সন্তান যখন সিজদার একটি আয়াত তেলাওয়াত করে এবং সে সিজদা করে, তখন শয়তান সরে যায় এবং সে কেঁদে ফেলে এবং বলে: হায় আফসোস!
আদমের পুত্রকে সিজদা করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং সে সিজদা করেছিল, সুতরাং সে জান্নাতে যাবে। আমাকে সিজদা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং আমি অস্বীকার করেছি, সুতরাং আমি জাহান্নামে যাব। ’ (সহীহ মুসলিম, ৮১)
নামাজ (সালাত) আত্মাকে সাফ করে, ঝামেলা দূর করে এবং উপায় দেখার জন্য দৃষ্টি খুলে দেয়। আমরা যখন নামাজ পড়ি তখন আল্লাহ আমাদের দিকে অনুগ্রহ করেন এবং আমাদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ প্রেরণ করেন।
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন নামাজ (সালাত) এর হিসাব নিবেন। যদি নামাজ (সালাত) যথাযথ ভাবে এবং
সময় মত সম্পাদন করে তবে তার সমস্ত বিষয় ভাল হবে এবং যদি তা অবহেলা করে তবে তার সমস্ত বিষয় নষ্ট হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ(সাঃ)ﷺএরশাদ করেন; “তোমরা দাঁড়িয়ে নামাজ পড়, এতে সক্ষম না হলে বসে পড়, এতেও সক্ষম না হলে শুয়ে পড়”। [সহীহ বুখারী: ১১১৭-১০৬৬]
“ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ, দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে,তার থেকে উওম”!
[মুসলিম: ৭২৫]
যৌবন কালের একটি সিজদাহ
বৃদ্ধ বয়সের ৮০ বছরের
ইবাদতের সমান
_ হযরত আলী(রা:)
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সকল কে সময় মতো নামাজ (সালাত) আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন