রমজান মাসের গুরুত্ব ও উপকারিতা :
মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতের মাস হলো রমজান মাস । আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন রমজান মাসের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে
কোরআন এ যা যা বলেছেন তা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো এবং আমাদের নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সঃ) রমজান মাসের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে যা বলেছেন তা তুলে ধারার চেষ্টা করবো ।
➡ হাশরের দিন রোজাদার ব্যাক্তিকে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন নিজ হাতে পুরস্কার দিবেন।(আল-কুরআন)
➡ ইসলামের পাঁচটি টি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ও তৃতীয় স্তম্ভ হলো সাউম বা রোজা।
➡ এ মাসে আমলের সওয়াব অন্য মাসের থেকে ৭০ গুণ বা তার থেকেও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
➡ হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায় রমজান মাসে ওমরাহ পালন করলে।
➡ এই মাসে, লাইলাতুল-কদর (মাহাত্ম ও সম্মান)যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
➡ এই রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল করা হয়।
➡ রমজান মাসে (সম্পদের ২.৫% বা ৪০ ভাগের এক ভাগ) যাকাত প্রদান করার সুপারিশ করা হয়।
➡ রমজান মাসে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেন এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন।
➡ রমজান মাসে শয়তানদেরকে বেঁধে রাখা হয়।
➡ রমজান মাস কুরআনের মাস হিসাবে পরিচিত এই মাসে কুরআন পড়া ও অধ্যয়ন করার জন্য অত্যন্ত সুপারিশ করা হয়।
➡ রোজা তাকওয়া অর্জনে সহায়তা করে। তাকওয়া (আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য, তাকে অসন্তুষ্ট করে এমন ক্রিয়া বা কাজ থেকে বিরত থাকা)
➡ প্রতিটি পূর্ণ কাজের জন্য রমজান মাসে আল্লাহ তা’আলা এর প্রতিদান ১০ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন ।
নবীজি বলেছেন…
রোজাদারের জন্য সব চেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো হাশরের মাঠে আল্লাহ্ সবার আগে রোজাদারের সাথে সাক্ষাত করবেন।
(সুবহানআল্লাহ)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি রোজা রাখো । কারণ এর সমমর্যাদার আর কোনো আমল নেই। [নাসায়ি: ২৫৩৪]
যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। [মুসলিম: ২৭৬৯]
‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ; একটি হলো ইফতারের সময় (ইহকাল), অন্যটি তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় (পরকালে)।’
[সহিহ মুসলিম-১১৫১]
“রোযা হল জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল, যুদ্ধক্ষেত্রে তোমাদের (শত্রুর আঘাত হতে রক্ষাকারী) ঢালের মত।”
[হযরত মুহাম্মদ (সা:)]
{মুসনাদে আহমদ: ১৬২৭৮; সহীহ ইবনে খুযাইমা: ২১২৫; সহীহ ইবনে হিববান: ৩৬৪৯; সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬৩৯}
আল্লাহতায়ালা বলেন; ‘রমজান মাস এমন মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে।’ [সূরা বাকারা: ১৮৫]