ভয়ংকর হারাম রিলেশন
কতটা ভয়ংকর এই হারাম রিলেশনশিপ। আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন,প্রতিদিন ২/৩ বেলা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করছেন, পর্দা
করছেন, নবীর সুন্নত মেনে চলছেন, নিয়মিত কত দোয়া করে যাচ্ছেন কিন্তূ আশ্চর্য ব্যাপার যে আপনার কোনো ইবাদতই হয়তো কবুল হচ্ছেনা ,কারণ
আপনি দিনের পর দিন একটা হারাম সম্পর্ক মেইনটেইন্স করে যাচ্ছেন।
আপনার কোনো ধারণায় নেই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে।
এই হারাম রিলেশনের অপর নাম দেয়া যায় যেনা। যেখানে আল্লাহ তায়ালা
বলেছেন,”তোমরা যেনার কাছেও যেওনা”। তাহলে দেখুন আপনি প্রতিদিন নামাজ-কালাম, পর্দা সবকিছু করেছেন ঠিক তবে
যেনায় লিপ্ত থেকে। নাউজুবিল্লাহ। তাহলে এবার ভাবুন আপনার ইবাদত গুলো কিভাবে কবুল হবে?
একটা বেগানা নারী/পুরুষের সাথে দিনের পর দিন হারাম রিলেশনে থেকে আপনার দুনিয়া আখিরাত বরবাদ হয়ে যাচ্ছে। আর এই আল্লাহর অবাধ্যতায়
ডুবে থেকে আপনি কখনো ভালো থাকতে পারবেন না। আপনার ইমান,আমল, সময় , বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব ধংস হয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত যে হারাম রিলেশনে থাকা মানুষটিকে আপনি জীবন সঙ্গী হিসেবে পাবেন তারও কোনো গ্যারান্টি নেই।
অধিকাংশ হারাম রিলেশনের শেষ পরিনতি হয় বিচ্ছেদ ও ধোঁকা। কিন্তূ পাপ গুলো আপনার আমল নামায় থেকে যাচ্ছে।
যদি এটা ভাবেন যে বিয়ের করার উদ্দেশ্যে আপনি তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তবে এটা মনে রাখবেন_ হজ্বের উদ্দেশ্যে যেমন ডাকাতি করা
জায়েয নেই / কোরবানির উদ্দেশ্যে যেমন গরু চুরি করা জায়েয নেই।
ঠিক তেমন বিবাহের
উদ্দেশ্য হারাম রিলেশনে থাকাও জায়েজ নেই। “বিয়ে হচ্ছে দ্বীনের অর্ধেক ” নবীর সুন্নাহ।
তাই হালাল সম্পর্ককে হারামের মাধ্যমে পূর্ণতা দেয়া ইসলাম সমর্থিত নয়।
প্রিয় ভাই/বোন আপনি ঐ মহাদিনের শাস্তির কথা স্মরণ করে আজকেই তাকে ছেড়ে দিন। আপনার মনে হতে পারে, এখন হঠাৎ করে যদি তাকে ছেড়ে দেয়
তো সে কষ্ট পাবে। আপনি একজন বেগানা নারী/পুরুষের জন্য এতোটা ভাবছেন যে কিনা বিচার দিবসে আপনার জাহান্নামের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
অথচ আপনার রব আপনাকে এতো নিয়ামত দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র তার বিধান মেনে তাকে সন্তুষ্ট করার
জন্য।আর আপনি দিনের পর দিন স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে থাকে অসন্তুষ্ট করছেন। আস্তাগফিরুল্লাহ।
মনে রাখবেন সেই মুছিবতের দিন যেদিন গর্ভধারিনী মা তার সন্তানকে চিনবে না, স্বামী তার স্ত্রীকে চিনবে না, বোন ভাইকে চিনবে না এমন একটা কঠিন মুছিবতের
দিন আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ থাকবেনা।আর সেই স্রষ্টার সাথে নাফরমানি করছেন সৃষ্টির মায়ায় পড়ে?
হায় আফসোস,
শুধু করব স্থানের দিকে একটিবার তাকিয়ে দেখুন । কবরের বাসিন্দারা কতো অসহায়,একাকি,
নির্জন অন্ধকার কবরে শুয়ে আছেন।কেউ যায়নি তাদের সাথে। আপনার আমার কবরেও একাকী যেতে হবে তখন সাথে কেউ যাবে না।
এখন ভাবুন এই দুনিয়ায় আপনি যার মায়া, ভালোবাসার জন্য প্রতিনিয়ত রবের অবাধ্য হচ্ছেন সেকি আপনার অন্ধকার কবরের সাথী হবে? না, উল্টে তার জন্য আপনি জাহান্নামে যাবেন।
আর আপনি যাকে এতোটা ভালোবাসেন তার ভালোবাসার টানে আপনি স্রষ্টার ভালোবাসা ভূলে গেছেন পর্যন্ত। আপনি আপনার সেই ভালোবাসার মানুষটিকে
ও জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা কি আদৌ ভালোবাসা হলো?
যেই ভালোবাসার হালাল ভিত্তি নেই,
যার পরিণাম হবে জাহান্নাম। আসুন এখনো সময় আছে রবের কাছে ফিরে আসার। ফিরে আসুন বেলা ফুরাবার আগে আপনার রবের দিকে।
এই ক্ষনস্থায়ী দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে ছুটে চলুন আখিরাতের সফলতার দিকে।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক, আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন।