১। আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা যদি একটি আয়াতও হয়। -সহীহ বুখারী
2। যে ব্যক্তি (পুরুষ) পায়ের টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, সে জাহান্নামী। – সহীহ বুখারী
3। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে। – সহীহ বুখারী
4। যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের নামায আদায় করবে সে জান্নাতে যাবে। – সহীহ বুখারী
5। যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ পোষন (অনিহা প্রকাশ) করবে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। – সহীহ বুখারী
6। যে ব্যক্তি বিদআত সৃষ্টি করবে ও আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ্ তা’আলার, ফেরেশতা ও সকল মানব সম্প্রদায়ের লানত ।
– সহীহ বুখারী বিদআত বলা হয় দ্বীন বিষয়ক কোন নতুন কর্মকে, যার কোন দলীল শরীয়তে নেই।
7)👉নবীজি বলেন,”যদি কারো পানিতে মাছি পড়ে যায়,তবে মাছিটিকে পানিতে চুবিয়ে তারপর পান কর!কারণ,মাছির এক ডানায় আছে রোগ,অন্য ডানায় আছে প্রতিকার!
— ”(সহীহ বুখারী, ৪:৫৪:৫৩৭)
8)👉নবীজি বলেন,”যারা রোপ্যপাত্রে পানি পান করে,তারা জাহান্নামের আগুন দ্বারা তাদের পেটপুর্ণ করে!
— -“(সহীহ বুখারী ৭:৬৯:৫৩৮)
9) 👉নবীজি বলেন,”জাহান্নামের আগুণ আল্লাহর কাছে অভিযোগ করল,”হে আমার প্রতিপালক, আমার বিভিন্ন অংশ পরস্পরকে খেয়ে ফেলছে!সুতরাং,
তিনি জাহান্নামকে দুইবার শ্বাস নেয়ার অনুমতি দিলেন,
একটি শীতকালে (প্রশ্বাস), অন্যটি গ্রীষ্মকালে (নিঃশ্বাস)! এবং এটাই (গ্রীষ্মকলে) প্রখর গরম ও (শীতিকালে) তীব্র শীতের কারণ!
— -“(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৮২)
10)👉নবীজি বলেন,”আল্লাহ হাচি পছন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন!
— -“(সহীহ বুখারী ৮:৭৩:২৪২)
11)👉নবীজি বলেন,”ভাল স্বপ্ন আসে আল্লাহ থেকে আর দুঃস্বপ্ন আসে শয়তান থেকে!কেউ যদি দুঃস্বপ্ন দেখে তার উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া ও বাম দিকে থুথু নিক্ষেপ করা,কারণ
এতে দুঃস্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
— -“(সহীহ বুখারী ৯:৮৭:১১৫)
12)👉আব্দুল্লাহ বর্ণিত:এক লোক নবীজির কাছে এসে বলল,সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে এবং নামায আদায় করতে পারেনি!!নবীজি বললেন:শয়তান তার কানে প্রস্রাব করে দিয়ে চলে গিয়েছে!
— -“(সহীহ বুখারী ২:২১:২৪৫)
13)👉নবীজি বলেন,”তোমরা সুর্যদ্বয় ও সুর্যাস্তের সময় নামায আদায় করোনা,কারণ সুর্য শয়তানের মাথার দুইপ্রান্তের মধ্যখান দিয়ে উদিত হয়।
— -“(সহীহ বুখারী ৪:৫৪:৪৯৪)
14👉.রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যদি কোনো ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে, গোটা রাতের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৪০)
15👉.🔘ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমাকে হুকুম দেয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের সঙ্গে ল–ড়া–ই করতে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে,
আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল।
আর তারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। যদি তারা এরূপ করে তবে তারা আমার হাত থেকে নিজেদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে নেবে,
অবশ্য ইসলামের হক যদি তা দাবী করে তবে আলাদা কথা; আর তাদের হিসাব নেয়ার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ন্যস্ত। [বুখারীঃ ২৫, মুসলিমঃ ২২]
16👉.রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
“তোমাদের কাছে ফেরেশতারা পালাক্রমে আগমণ করে থাকেন দিবসে ও রজনীতে। ফজর ও আসরের সালাতের সময় উভয় দলের মিলন ঘটে।
রাত্রে অবস্থানকারী ফেরেশতাগণ রাত্রি শেষে আকাশে উঠে যান। বান্দাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন:
তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তারা উত্তরে বলেন: আমরা তাদের কাছে আগমণের সময় সালাতের অবস্থায় তাদেরকে পেয়েছি এবং
বিদায়ের সময়ও তাদেরকে সালাতের অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। (সহীহ বুখারী হা: ৫৫৫)
17/যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
(বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭)
18)যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী এক সাথে তাহাজ্জুদ এর
নামায পড়বে, সে ঘরে জীবনে কোনো দিন অশান্তি
হবেনা”– বুখারী ও মুসলিম।☆
19/”প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়,
যদি সে তাড়াহুড়ো না করে।”
বুখারিঃ ৬৩৪০
20/জান্নাতীদের প্রথম খাবার হবে মাছের কলিজা ভুনা।
বুখারী – ৩৭৯৮
21/৬)যে স্ত্রী তার স্বামীকে সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে পবিত্র করে ফজরের সালাতে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়,
ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে ভালোবাসার নুর পয়দা হয়”।
–বুখারী শরিফ।☆
22/‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সালাতরত অবস্থায় তোমাদের কেউ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে
যেন ঘুমের আমেজ চলে না যাওয়া পর্যন্ত ঘুমিয়ে নেয়। কারণ, যে তন্দ্রাচ্ছন্ন সালাত আদায় করে সে জানে না যে, সে কি ইস্তেগফার করছে নাকি নিজেকে গালি দিচ্ছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২১২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
23/জারীর ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ আল-বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেনঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বায়‘আত গ্রহণ করেছি সালাত কায়িম করার,
যাকাত প্রদান করার এবং সমস্ত মুসলিমের মঙ্গল কামনা করার।
(৫২৪, ১৪০১, ২১৫৭, ২৭১৪, ২৭১৫, ৭২০৪; মুসলিম ১/২৩ হাঃ ৫৬, আহমাদ ৩২৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৫৫)
24/যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে।
(বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭)
25/নবীজি (সা.)-এর হুঁশিয়ারি : রাসুলুল্লাহ (সা.) সুন্দর পোশাক পরিধান করতে বলেছেন। তবে অহংকারের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহংকারবশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৯১)