সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর অর্থ ও ফজিলত সমূহ তুলে ধরা হল :
জ্ঞান ছাড়া আমল এবং আমল ছাড়া জ্ঞান দুটোই অতি ভয়ংকর তাও বিশেষভাবে এই ফিৎনার যুগে।
তাই আসুন বুঝে আমল করি। আগে সহীহ্ হাদিস থেকে নেয়া কিছু তথ্য
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া হিসেবে একে আক্ষায়িত করেছেন।
মানব জাতির নানা রকম ভুল পাপাচারে লিপ্ত হয় মহান আল্লাহতায়ালা এসব পাপ ও ভুলগুলো ক্ষমা করার জন্য মানব জাতিকে বিভিন্ন দোয়া ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম শিখিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহু তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সবচেয়ে উত্তম একটি দোয়া সাইয়েদুল ইস্তেগফার। বুজুর্গ আনেরা বলে থাকেন এই দোয়ার ফজিলত এত বেশি যে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এই দোয়াটাই সর্বোত্তম একটি দোয়া।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْت
সাইয়েদুল ইস্তেগফার আরবি উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা। ওয়া আনা আলা আহদিকা। ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু।
আউজু বিকা মিন শাররি মা-সানা’তু। আবুয়ু লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা। ওয়া আবুয়ু লাকা বি জাম্বি। ফাগফিরলী। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনবা ইল্লা আনতা।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার এর বাংলা অর্থ:
“হে আল্লাহ! একমাত্র আপনিই আমাদের প্রতিপালক। আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আপনিই আমার স্রষ্টা এবং আমি আপনার দাস।
আমি আপনার সঙ্গে কৃত ওয়াদা ও অঙ্গীকারের ওপর সাধ্যানুযায়ী অটল ও অবিচল আছি। আমি আমার কৃতকর্মের সব অনিষ্ট হতে আপানার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আমার উওর আপনার দানকৃত সব নেয়ামত স্বীকার করছি। আমি আমার সব গুনাহ স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা, আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।”
সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার ফজিলতঃ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার ফজিলত রয়েছে অনেক। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি দূর বিশ্বাসের সাথে
সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে পাঠ করে সারাদিনের কোন অংশে যদি সে মারা যায় তবে সে জান্নাতি হবে তাদের প্রতি রাতে পাঠ করে তাহলে রাতে মারা
গেলেও সে জান্নাতি হবে। অর্থাৎ সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে বিকালে দুই বার পাঠ করলে সারা দিনে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করে থাকে তবে সে জান্নাতের লাভ
করবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস থেকে বোঝা যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠের ফজিলত কত বেশি।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার কখন পড়তে হয়
ক্ষমা প্রার্থনার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই যখনই পাপের জন্য অনুতপ্ত হবে তখনই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে ও রাতে এই দুই সময় পড়ার সবচাইতে উত্তম। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন
সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে পাঠ করে কেউ যদি দিনে মারা যায় তবে সে জান্নাতি কেউ যদি রাতে পাঠ করে ওই রাতে মারা যায় তাহলে
সে জান্নাতি এর থেকে বোঝা যায় সাইয়েদুল ইস্তেগফার সকালে ও রাতে দুবার পাঠ করা উচিত।
সাইয়েদুল ইস্তেগফার সম্পর্কে হাদিস
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এই দোয়া পাঠ করবে এবং সে দিন সন্ধ্যার আগে মারা যাবে সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে।
আর যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এই দোয়া পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে। সহিহ বুখারী: ( ৬৩০৬ )
সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার নিয়মঃ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে সকালে ও বিকালে বিশেষ করে সকালে বিকেলে যেকোনো সময় পরে নিলেই হয়।
তবে দৈনিক দুইবার সাইয়েদুল ইস্তেগফার পড়া উচিত কারণ সকালে পড়লে সারা দিনের ফজিলত পাওয়া যায় রাতে পড়লে সারা রাতের ফজিলত পাওয়া যায়।
এছাড়াও আপনি যখন তখন এ দোয়া পাঠ করতে পারেন কেন বাধ্যতামুল নেই এক্ষেএে।
পাক এমনকি নাপাক অবস্থায়ও দোয়া করা যায় তবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উওমটাই আমাদের জন্য শ্রেয়।
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহু আকবার