একদিন নিজের সাথে বোঝাপড়া করুন
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, এমন কিছু করেছেন যা গত সপ্তাহের চেয়ে উত্তম?
আমল-ইবাদাত কি আগের তুলনায় কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে?
নিজেকে কতটুকু সংশোধন করতে সক্ষম হয়েছেন?
এমন কোন দান আছে যা আপনি একেবারে নিঃস্বার্থভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করেছেন?
এমন কোন গোপন আমল আছে যা কেবলমাত্র আপনার রব কে খুশি করার উদ্দেশ্যে করেছেন?
আল্লাহ তাআলা বলেন: “বরং মানুষ নিজেই নিজের ব্যাপারে খুব ভালো জানে।” (সূরা কিয়ামাহ: ১৪)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন, “সেদিন তোমাদেরকে (আল্লাহর সামনে হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান প্রদানের জন্য) পেশ করা হবে, তখন তোমাদের কোনকিছুই গোপন থাকবে না”। (সূরা আল-হাক্কাহ, আয়াত নং ১৮)
অন্তত একটা দিন আত্ম-পর্যালোচনা করুন, নিজের যাবতীয় কার্যাবলীর সমালোচনা নিজেই করুন, নিজের কাছে নিজের জবাবদিহিতার প্রচলন করুন।
এরূপ করলে আপনার আত্মিক উন্নতি হবে, আপনার আমল-আখলাকে ব্যপক পরিবর্তন আসবে, সর্বোপরি আপনি জান্নাতের পথে এগিয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান যে নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করে।
আর সেই ব্যক্তি নির্বোধ ও অক্ষম যে তার নাফসের দাবির অনুসরণ করে আর আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে বৃথা আশা পোষণ করে। (সূনান আত-তিরমিজী:২৪৫৯)
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, “হিসাবের সম্মুখীন হওয়ার পূর্বেই তোমরা নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব নাও এবং মহা সমাবেশে হাযির হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও।
যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার হিসাব-নিকাশ নেয়, কিয়ামাতের দিন তার হিসাব অত্যন্ত হালকা ও সহজ হবে”। (মুহাসাবাতুন নাফস-ইবনু আবিদ দুনিয়া, ২৯ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২/ আয-যুহুদ লিল ইমাম আহমাদ, ১২০ পৃষ্ঠা)
মাইমূন ইবনু মিহরান বলেন, কোন ব্যক্তি খাঁটি মুত্তাকী হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে আত্মসমালোচনা করবে। যেমন কোন ব্যক্তি তার শরীরের নিকট হতে
পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব নেয় যে, সে খাদ্যদ্রব্য ও কাপড়-চোপড় কোথেকে কত মূল্যে সংগ্রহ করেছে। (সূনান আত-তিরমিজী:২৪৫৯ দ্রষ্টব্য)
নিজের বিবেকের কাঠগড়ায় নিজেকে দাঁড় করান, তাহলে নিজের মধ্যে কোথায় কী সমস্যা আছে তা পরিষ্কার দেখা যাবে।
আর এতে করে নিজেকে খুব সহজেই সংশোধন করা সম্ভব। আল্লাহ তাওফিক দিন।