(আসসালামু’য়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু)
(‘সুন্নাত’ ভালো বা মন্দ হতে পারে)
জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন:
“একদল বেদুঈন (রাসূল (সঃ) এর দরবারে উপস্থিত হয়।
তাদের পরনে ছিল পশমী পোশাক। তিনি তাদের করুণ
দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা দেখতে পান এবং তাদের অভাব বুঝতে পারেন।
তিনি সমবেত সকলকে (এদের জন্য) দান করতে উৎসাহ প্রদান
করেন। উপস্থিত শ্রোতাগণ বেশ দেরি করেন (তাঁর ওয়াজ শোনার
পরেও অনেকক্ষণ পর্যন্ত কেউ কোনো দান করেন না), এতে
(রাসূল (সঃ) বিচলিত হন এবং তাঁর চেহারা মোবারকে তা
বোঝা যায়। এমন সময় এক আনসারী সাহবী রৌপ্যের একটি
থলে নিয়ে আসেন। এরপর আরেক ব্যক্তি আসেন, এরপর
ক্রমাগত মানুষেরা তাদের দানের দ্রব্য নিয়ে আসতে থাকেন।
তখন (রাসূল (সঃ) এর চেহারা মোবারকে আনন্দের
ছাপ ফুটে ওঠে। তিনি বলেন: ” যদি কেউ ইসলামের মধ্যে কোন
ভালো সুন্নাত চালু করে অতঃপর অন্য মানুষেরা এই ‘ভালো সুন্নাত’
অনুযায়ী কর্ম করে তাহলে ঐ প্রবর্তক ব্যক্তি পরবর্তী সকল
কর্মকারীর কর্মের সমান সওয়াব ও পুরস্কার পাবে, তবে এতে
পরবর্তী কর্মকারীদের সওয়াব কমবে না। অনুরুপভাবে যদি
কেউ ইসলামের মধ্যে কোনো খারাপ সুন্নাত চালু করে এবং
পরে অন্য মানুষেরা এই খারাপ সুন্নাতের মতো কর্ম করে তাহলে
পরবর্তী সকল কর্মকারীর কর্মের গুনাহের সমপরিমাণ গুনাহ
লাভ করবে প্রথম প্রবর্তক ব্যক্তি, কিন্তু এতে পরবর্তী কর্মকারীদের
গুনাহ কমবে না।
★(মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ, সহীহ, কিতাবুল ইলম, নং ৪৮৩০)★
এখানে আমরা দেখছি যে, ক্ষুদ্র রীতিকেও ‘সুন্নাত’ বলা যায়।
(রাসূল (সঃ) সবাইকে দান করতে উৎসাহ প্রদান করলেন।
এতে প্রথম যে ব্যক্তি সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসলো তাকে তিনি
‘সুন্নাতে হাসানা’র বা সুন্দর রীতির প্রচলক বলে আখ্যায়িত
করেছেন। যেহেতু তার দেখাদেখি আরো অনেকে দান করতে
এগিয়ে এসেছেন কাজেই এই দান কর্মটি
একটি সুন্নাত বা রীতি
হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। আমরা দেখছি যে, ‘সুন্নাত’ ভালো
বা মন্দ হতে পারে।