শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
কুরআনে সূরা আল-বালাদের ৪ নং আয়াতের অর্থ কী?
“লাকাদ খালাকনাল ইনসান ফি কাবাদ”
“আমরা অবশ্যই মানুষকে কষ্টের মধ্যে সৃষ্টি করেছি।”
একটি আয়াত যা সর্বজনীন আইন বর্ণনা করে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই আয়াতে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট একটি প্রাকৃতিক ঘটনা।
প্রত্যেক মানুষের অসুবিধা হবে। এ থেকে কেউ মুক্তি পাবে না। পৃথিবী এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য থাকে।
দরিদ্র মানুষ ভোগেন, ধনী লোকেরা ভোগেন।
দুর্বল মানুষ ভোগেন, স্বাস্থ্যকররা ভোগেন।
নিরক্ষর কষ্ট, শিক্ষিত ভোগান্তি।
পুরুষ ভোগেন, মহিলারা ভোগেন।
নিষ্পাপ ভোগেন, অপরাধীরা ভোগেন।
মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, অমুসলিমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সুন্দরীরা ভোগেন, কুৎসিত ভোগেন।
মুল বক্তব্যটি হ’ল ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। আমাদের সকলের মধ্যে সাধারণ উপাদানটি হ’ল ব্যথা এবং কষ্ট। পার্থক্যটি হ’ল সমস্যার প্রকৃতি এবং বিশালতা।
আরও একটি পার্থক্য রয়েছে: সমস্যার প্রতিক্রিয়া।
আল্লাহর শক্তি ও করুণা সম্পর্কে সচেতন ব্যক্তি তার সমস্যার সমুদ্রে ডুবে যাবে না। তিনিও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবেন তবে তিনি ধৈর্য ধরতে বেছে নেবেন
এবং কৃতজ্ঞও হতে পারেন, যারা ইশ্বর সম্পর্কে অবহিত নয় এমন ব্যক্তির কাছ থেকে এমন তা আশা করা যায় না।
যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে ময়লা আবর্জনা কিংবা কষ্ট হয় এমন বস্তুু দূরীভূত করবে তার জন্য আল্লাহতায়ালা জান্নাতে একটি ঘর নির্মান করে দিবেন। (সূনানে ইবনে মাজাহ ২য়/৩২৯পৃষ্ঠা)
একটি হাদিস
রাসুল (সঃ)এর নিকট এক সাহাবি ( রাঃ) প্রশ্ন করেন, কখন কেয়ামত হবে? রাসুল (সঃ) উত্তরে বলেছিলেন,
“যখন দেখবে আলেমরা লাঞ্চিত আর অপমানিত হচ্ছে এবং মূর্খরা সমাজের সম্মানিত ও সমাজ পরিচারক হবে, ধরে নিবে কেয়ামত নিকটে”
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুক।