জমজমের পানি নিয়ে কিছু তথ্য
১. জমজমের সৃষ্টি প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে।
২. ইসমাঈল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে এই ঝরনাধারা শুরু হয়।
৩. এর অবস্থান পবিত্র কাবা থেকে ২০মিটার পশ্চিমে মসজিদে হারামের ভেতরে।
৪. জমজমের গভীরতা ৩০মিটার।
৫. বর্তমানে বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার লিটার বা মিনিটে চার লাখ ৮০ হাজার লিটার পানি উত্তোলন করা হয়।
৬. জাপানের বিখ্যাত গবেষক মাসরু এমোটো জমজমের পানি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, সাধারণ পানির এক হাজার ফোঁটার সঙ্গে যদি জমজমের পানির এক ফোঁটা মেশানো হয়,
তাহলে সেই মিশ্রণও জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ হয়। জমজমের পানির মতো বিশুদ্ধ পানি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।
৭. এই পানিতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য। ফলে জমজমের পানি পান করলে ক্ষুধা নিবারণ হয়।
৮. হজরত আবু যর গিফারী (রা.) ইসলাম গ্রহণ করে মক্কায় এসে শুধু জমজমের পানি পান করে ৩০ দিন কাটিয়েছিলেন।
৯. জমজমের পানিতে নানা রোগ থেকে মুক্তির উপাদান রয়েছে।
১০. ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের ছেলে পিতার ব্যাপারে বলেন, আমি বাবাকে রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য জমজম পান করতে দেখেছি।
১১. ইবনুল কায়্যিম রাহ. বলেন, রোগমুক্তির জন্য জমজম ব্যবহার করে আমি অনেক রোগ থেকে মুক্ত হয়েছি।
১২. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগীদের উপর জমজমের পানি ছিটাতেন এবং তাদেরকে তা পান করতে দিতেন।
১৩. রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।
১৪. একমাত্র পানির আধার যেখান থেকে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মুসলিমরা পানি সংগ্রহ করে।
১৫. জাহেলি যুগে জুরহাম গোত্র খোজায়া গোত্র কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত ও বিতাড়িত হয়ে মক্কা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এই কুয়ায় তারা মাটি ভরাট করে দেয়। ফলে এটি প্রায় ৪৫০ বছর বন্ধ ছিল।
১৬. ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়ে আবদুল মুত্তালিব পুত্র হারেসকে সঙ্গে নিয়ে তা আবার খনন করেন।
১ ৭. বর্তমানে সৌদি বাদশাহর এক রাজকীয় ফরমান অনুযায়ী হজ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইউনিফায়েড ‘জামাজেমা দফতর’ গঠিত হয়। এই দফতরে একজন প্রেসিডেন্ট,
একজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ মোট ১১ জন সদস্য ও পাঁচ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
জমজমের পানি পান করার নিয়ম:
কিবলামুখী হয়ে পান করা। তিন শ্বাসে পান করা। প্রত্যেকবার বিসমিল্লাহ পড়া। প্রতি শ্বাসের পর আলহামদু লিল্লাহ বলা। ডান হাতে পান করা।
পান করার সময় দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দুয়া করা। পেট ভরে পরিতৃপ্ত হয়ে বেশি বেশি পান করা।