জালেম শাসকের ঈমানদার স্ত্রী বিবি আছিয়ার মৃত্যু-
ফেরাউন গভীর রাতে বন্ধু হামানকে নিয়ে আছিয়ার বালাখানার দরজার সামনে দাড়িয়ে দেখে,আছিয়া এক মনে মাওলাহ পাকের জিকির করছে আর কাঁদছে।
তখন হামান বলে,আমি শেষ বারের মত আপনাকে অনুরোধ করছি।জাহাপনাকে একবার খোদা বলে স্বীকার করে নিয়ে আপনার মহামূল্যবান জীবনটা রক্ষা করুন।
আছিয়া বলল,সামান্য জীবন রক্ষার জন্য আমি মিথ্যা কে সত্য বলে মেনে নিতে পারব না।আমার আল্লাহ পাকের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আমি সাতটি সন্তান বিসর্জন দিয়েছি,এখন এই তুচ্ছ প্রাণের জন্য কিসের মায়া।
ফেরাউন বলল,আছিয়া তুমি আমাকে একবার খোদা বলে স্বীকার কর।নইলে তোমাকে এই দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করে দিব।
আছিয়া বলল,মানুষ কখনও খোদা হতে পারে না। অন্তরের অন্তস্থলে যেই আল্লাহর মুহব্বত আমি জাগায় দিয়েছি ঐ আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমি তোমাকে আল্লাহ বলতে রাজি নই।আমার আল্লাহ পাক ভোরে এত বড় সূর্য পূর্ব দিকে উদয় করে সন্ধ্যায় পশ্চিম দিকে অস্ত করে দেয়।
তুমি পারলে সূর্যটাকে পশ্চিম দিকে উদয় করে আর পূর্ব দিকে অস্ত করে দেখাও, ইহা শুনে ফেরাউন হামানকে বলল,মন্ত্রী সাহেব!
আমি আর এই অবাধ্য নারীর কোন কথাই সহ্য করতে পারছি না।আপনি একটা পেষণ যন্ত্র নিয়ে আসুন,একটি মজবুত পেষণ যন্ত্র আনা হলো।
আছিয়ার দুই হাতে পেরাগ মারলো, তারপরে একটা তক্তায় হাজার হাজার পেরাগ মেরে তক্তাতাটে চিৎ করে দিলো,পেরাগগুলো খাড়া হয়ে গেল।তার উপর আছিয়াকে শোয়ায়ে দিয়ে তাকে চারিদিক দিয়ে পিটাইবার হুকুম দিলো,জল্লাদ চারদিক দিয়ে পিটাইতে লাগলো।
আছিয়া শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ জিকির করতে লাগলো।এবার আছিয়াকে পেষণ যন্ত্রের ভেতরে আবদ্ধ করে পেষণ যন্ত্র কষাতে লাগলো। নারীর কোমল দেহ!
আছিয়ার দেহের মাংস ফেটে রক্ত পড়তে লাগলো।ফেরাউন বলল,একে আমি তিলে তিলে শেষ করবো।জল্লাদকে হুকুম করলো আছিয়ার মাথা ছুরি চালাবার জন্য।
জল্লাদ যখন আছিয়ার মাথার ছুরি বসাই,তখন ফেরআউন আছিয়ার কানের কাছে গিয়ে বলে আছিয়া তুমি আমার প্রথম স্ত্রী,তোমাকে আমার রাজত্বের অর্ধেক দিয়ে দিব। তুমি গোপনে আমার কানে একবার খোদা বলো,তোমার খোদায় যেনো না শুনে।
আছিয়া বলে,আল্লাহ পাক মায়ের পেটে সাতটা পর্দার নিচে সন্তানের রূহ পৌঁছান এবং সে কোন হালে আছেন দেখেন।আল্লাহ না দেখার,না শোনার জায়গা এই দুনিয়াতে নেই।
ফেরআউন হুকুম দিল,হে জল্লাদ আছিয়ার মাথায় ছুরি লাগাও।যখন জল্লাদ ছুরি চালায় দিলো ঝপ ঝপ করে রক্ত পড়তে লাগল।তখন আছিয়ার ঠোঁট নড়তে লাগলো।আল্লাহ ডাক দিয়ে বলে ও ফেরেস্তারা আমার!আছিয়া কি বলে শোনো।
আছিয়া বলতে লাগলো মাবুদগো আমাকে এমন একটা ঘর দাও বাহির হবার সময়ও তোমায় দেখি,ঘরে ঢোকার সময়ও যেনো তোমায় দেখি,এই সময় আসমান কাদে,জমিন কাদে,ফেরেস্তা কাদে।
আছিয়া বলে,আল্লাহগো তোমার জান্নাত চাইনা, ইমান ভিক্ষা চাই।আমার আল্লাহ বলে,হে আছিয়া সুসংবাদ শুনে নাও। তোমাকে আমার আরশেরপাশে জায়গা দিব।কঠোর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ক্ষীণ কন্ঠে উচ্চারণ করল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ)তিনি শাহাদাত বরণ করল।
👉 বিপদের সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যে ৩টি দোয়া পাঠ করতেন:
👉 অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা:
👉 প্রশ্ন: খারাপ স্বপ্ন দেখলে কী করণীয়?: