কোরআনে শহীদদের মর্যাদা ও সম্মান
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’শহীদ বলা হয়। তাকে শহীদ এজন্য বলা হয় যে, সে জান্নাতে উপস্থিত হয়ে যায়। শহীদের মর্যাদায় আল্লাহ বলেন –
. وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِنْ لَا تَشْعُرُونَ [٢:١٥٤
অর্থাৎ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়,তাদের মৃত বলো না বরং তারা জীবিত,কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। (সুরা বাক্বারা : ১৫৩) শহীদের মর্যাদা এত বেশি যা রাসুলের হাদিসে প্রমাণ পাওয়া যায়-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ মনে শাহাদাতের প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করবেন। যদিও সে স্বীয় বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯০৯
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার দরবারে শহীদের জন্য রয়েছে ৬টি বৈশিষ্ট্য- তা হলো:
(১)তার রক্তবিন্দু মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(২)জান্নাতে তার বাসস্থানটি তাকে দেখানো হবে।
(৩)কবরের আযাব থেকে রেহাই দেয়া হবে।
(৪)সে কঠিন ভীতিপূর্ণ দিন থেকে নিরাপদ থাকবে।
(৫)তার মাথায় ইয়াকুত পাথর খচিত মর্যাদার টুপি পরানো হবে যার এক একটি পাথর দুনিয়া ও দুনিয়ার সকল বস্তু হতে উত্তম।
(৬)টানাটানা চোখ বিশিষ্ট ৭২ (বাহাত্তর) জন হুরকে তার সাথে বিবাহ দেয়া হবে এবং তার নিকটআত্নীয়দের ৭০ (সত্তর) জনের জন্য তার সুপারিশ মঞ্জুর করা হবে।
[তিরমিযী, সহীহ ইবনু মাজাহ হা/২২৭৫, আহমাদ]
সুতরাং ইচ্ছা হোক অনিচ্ছায় হোক, প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে শহিদী মৃত্যু দান করুন। আমিন।
👉ইসলামের জন্য প্রথম জীবন দেন যে নারী-
👉হযরত মুসা (আঃ) ও আল্লাহ তালার কথোপকথন-
👉রাসূলুল্লাহ(ﷺ ) ও এক আগন্তুকের অবিশ্বাসনীয় ঘটনা-