প্রশ্ন: ইসলামে গণতন্ত্রের বিধান কি?
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন ব্যক্তিকে ভোট দেয়া ও নির্বাচিত করার হুকুম কি?
গণতন্ত্র যদি হারাম হয়, তাহলে হারাম প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারের আনুগত্য করা যাবে কি?দুই পর্বের আজ প্রথম পর্ব।
উত্তর: ইংরেজী Democracy শব্দের অর্থ ‘গণতন্ত্র’। গণতন্ত্র (Democracy) শব্দটি আরবী নয়। এটি গ্রিক ভাষার শব্দ। গ্রীক শব্দমূল Demos ও Kratia থেকে এর উৎপত্তি। Demos শব্দের অর্থ সাধারণ মানুষ বা জনগণ আর Kratia শব্দের অর্থ শাসন বা ক্ষমতা। সুতরাং উভয় শব্দের মিলিত অর্থ দাঁড়ায় সাধারণ মানুষ বা জনগণের শাসন ক্ষমতা।
অতীতে ও মধ্যযুগে একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে এ অর্থেই গণতন্ত্র শব্দটি ব্যবহৃত হতো। আধুনিক যুগে এটি কেবল সরকার ব্যবস্থাই নয়, বরং একটি সমাজ ব্যবস্থাকে বুঝায়।
আর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি একটি শাসনব্যবস্থা। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গের এক জনসভায় ‘গণতন্ত্র’-এর আধুনিক সংজ্ঞা দেন এভাবে- “Democracy is the government of the people by the people and for the people.” অর্থাৎ ‘গণতন্ত্র এমন একটি সরকার ব্যবস্থা,
যা মানুষের উপর মানুষের দ্বারা পরিচালিত মানুষের প্রভুত্বভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা বুঝায়।’ (সৈয়দ মকসুদ আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ৩য় সংস্করণ, জুন ১৯৮৩ খৃ. পৃষ্ঠা:২৮৫)
গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও তার বাস্তব অবস্থার কারণে এটি ইসলাম সমর্থন করে না। কারন এটি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক একটি মতবাদ। এই তন্ত্রে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা জনগণের হাতে অথবা তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধি (পার্লামেন্ট সদস্য) এর হাতে অর্পণ করা হয়।
তাই এ তন্ত্রের মাধ্যমে গায়রুল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়; জনগণ ও জনপ্রতিনিধির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ তন্ত্রে জনপ্রতিনিধিদের সকলে একমত হওয়ার দরকার নেই। বরং অধিকাংশ সদস্য একমত হওয়ার মাধ্যমে এমন সব আইন জারী করা যায়- জনগণ যেসব আইন মেনে চলতে বাধ্য; এমনকি সে আইন যদি মানব প্রকৃতি, ধর্ম, বিবেক ইত্যাদির সাথে সাংঘর্ষিক হয় তবুও।
উদাহরণতঃ এই তন্ত্রের অধীনে গর্ভপাত করা, সমকামিতা, সুদি মুনাফার বিধান ইত্যাদি জারী করা হয়েছে। ইসলামি শাসনকে বাতিল করা হয়েছে। ব্যভিচার ও মদ্যপানকে বৈধ করা হয়েছে। বরং এই তন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামপন্থীদেরকে প্রতিহত করা হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে জানিয়েছেন, হুকুম বা শাসনের মালিক একমাত্র তিনি এবং তিনিই হচ্ছেন- উত্তম হুকুমদাতা বা শাসক।
পক্ষান্তরে অন্যকে তাঁর শাসনে অংশীদার করা থেকে নিষেধ করেছেন এবং জানিয়েছেন তাঁর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা কেউ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন; “অতএব, হুকুম দেওয়ার অধিকার সুউচ্চ ও সুমহান আল্লাহর জন্য।” (সূরা গাফের, আয়াত: ১২)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন ;
“আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেওয়ার অধিকার নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।” (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০)। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “আল্লাহ কি হুকুমদাতাদের শ্রেষ্ঠ নন?” (সূরা ত্বীন, আয়াত: ০৮)।
তিনি আরও বলেন; “বলুন, তারা কতকাল অবস্থান করেছে- তা আল্লাহই ভাল জানেন। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের গায়েব বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। তিনি কত চমৎকার দেখেন ও শোনেন! তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
তিনি নিজ হুকুমে কাউকে অংশীদার করান না।” (সূরা কাহাফ, আয়াত: ২৬)। তিনি আরও বলেন; “তারা কি জাহেলিয়াতের হুকুম চায়? বিশ্বাসীদের জন্যে আল্লাহর চেয়ে উত্তম হুকুমদাতা আর কে?” (সূরা মায়েদা, আয়াত: ৫০)
👉২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস-
👉৩০ টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস-
👉মা বোনদের জন্য ১৫ টি হাদিস :-
আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুলের স্রষ্টা। তিনি জানেন, কোন বিধান তাদের জন্য উপযুক্ত; কোন বিধান তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। সব মানুষের বিবেক-বুদ্ধি, আচার-আচরণ ও অভ্যাস এক রকম নয়। নিজের জন্য কোনটা উপযোগী মানুষ সেটাই তো জানে না; অন্যের জন্য কোনটা উপযুক্ত সেটা জানবে।
এ কারণে যে দেশগুলোতে জনগণের প্রণীত আইনে শাসন চলছে সে দেশগুলোতে বিশৃঙ্খলা, চারিত্রিক অবক্ষয়, সামাজিক বিপর্যয় ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু দেশে এ তন্ত্রটি নিছক একটি শ্লোগান ছাড়া আর কিছু নয়; যার কোনরূপ বাস্তবতা নেই। এ শ্লোগানের মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দেয়া উদ্দেশ্য।
প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপ্রধান ও তার সহযোগীরাই হচ্ছে- আসল শাসক এবং জনগণ হচ্ছে তাদের করদ। এর চেয়ে বড় প্রমাণের আর কি প্রয়োজন আছে, শাসকবর্গ যা অপছন্দ করে ডেমোক্রেসিতে যদি এমন কিছু থাকে তখন তারা সেটাকে পায়ের নীচে পিষ্ট করে।
নির্বাচনে কারচুপি, স্বাধীনতা হরণ, সত্য কথা বললে টুটি চেপে ধরা ইত্যাদি এমন কিছু বাস্তবতা যা সকলের জানা; এগুলো সাব্যস্ত করার জন্য কোন দলিলের প্রয়োজন নেই। দিনের অস্তিত্ব সাব্যস্ত করার জন্য যদি দলিল লাগে তাহলে বিবেকে আর কিছু ধরবে না।
মাউসুআতুল আদইয়ান ওয়াল মাযাহেব আল-মুআসেরা গ্রন্থ (২/১০৬৬) তে এসেছে- পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি: এটি এমন একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা যাতে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিবর্গের নির্বাচনে গঠিত পরিষদের মাধ্যমে জনগণ শাসনকার্য পরিচালনা করে থাকে। এ ব্যবস্থায় জনগণ বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু প্রক্রিয়ায় শাসনকার্যে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে। সে প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে-
(১) ভোট দেওয়ার অধিকার: জনগণের কতিপয় ব্যক্তিবর্গ কোন একটি আইনের বিস্তারিত বা সংক্ষিপ্ত বিল উত্থাপন করে। এরপর পার্লামেন্ট কমিটি সেটার উপর আলোচনা করে ও ভোট দেয়।
(২) গণভোট দেওয়ার অধিকার: কোন একটি আইন পার্লামেন্টের অনুমোদনের পর জনগণের রায় প্রকাশ করার জন্য পেশ করা।
(৩) না-ভোট দেওয়ার অধিকার: কোন একটি আইন প্রকাশ করার নির্দিষ্ট কিছু সময়ের মধ্যে সংবিধান কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক লোকের পক্ষ থেকে এ আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানানোর অধিকার। যাতে করে এ আপত্তির ফলে গণভোটের মাধ্যমে সমাধান করা যায়।
যদি হ্যাঁ-এর পক্ষে বেশি ভোট পড়ে তাহলে আইনটি কার্যকর করা হয়। আর যদি না-এর পক্ষে বেশি ভোট পড়ে তাহলে সেটি বাতিল করা হয়। বর্তমানে প্রায় সকল সংবিধান এ নিয়মে চলছে। কোন সন্দেহ নেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা আল্লাহর আনুগত্য ও আইনপ্রণয়ন অধিকারের ক্ষেত্রে একটি নব্য শিরকের স্বরূপমাত্র।
যেহেতু এ প্রক্রিয়ায় স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহর আইন প্রণয়ন করার একক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হয় এবং মাখলুককে এ অধিকার প্রদান করা হয়। অথচ আল্লাহ তাআলা বলেন: مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اِلَّاۤ اَسۡمَآءً سَمَّیۡتُمُوۡهَاۤ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنِ الۡحُکۡمُ اِلَّا لِلّٰهِ ؕ اَمَرَ اَلَّا تَعۡبُدُوۡۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ “তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কিছু নামের ইবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছে। আল্লাহ এদের কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি।
আল্লাহ ছাড়া কারও বিধান দেওয়ার অধিকার নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত করো না। এটাই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।”। (সূরা ইউসুফ:৪০ ইসলাম সাওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-৯৮১৩৪)।
দুঃখজনক হলেও সত্যি অনেক মানুষ ধারণা করে, ডেমোক্রেসি মানে- স্বাধীনতা, মুক্ততা! এটি একটি ভুল ধারণা। যদিও ‘স্বাধীনতা’ ডেমোক্রেসির উদ্ভাবিত একটি পণ্য। আমরা এখানে স্বাধীনতা বলতে বুঝাতে চাই: বিশ্বাসের স্বাধীনতা, চারিত্রিক স্খলনের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
ইসলামী সমাজের উপর এগুলোর নেতিবাচক প্রভাব অনেক। এ প্রভাব মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে রাসূলগণ, তাদের রিসালাত, কুরআন, সাহাবায়ে কেরামের উপর দোষারোপ করার পর্যায়ে পর্যন্ত পৌঁছে যায়। স্বাধীনতার নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, খারাপ ছবি ও ফিল্ম অনুমোদন দেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এভাবে এর তালিকা লম্বা হতেই থাকে। এ সবগুলো উম্মতের দ্বীনদারিত্ব ও চরিত্র ধ্বংস করার অপচেষ্টা।
পৃথিবীর নানা রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক শাসনের আড়ালে যে স্বাধীনতার দিকে আহ্বান জানায়, সে স্বাধীনতা আবার সবক্ষেত্রে নয়। বরং স্বার্থ ও প্রবৃত্তির শিকলে এ স্বাধীনতা আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে তারা মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও কুরআনকে দোষারোপ করা অনুমোদন করে; কিন্তু ‘না-ৎ-সি-দের ই-হু-দি নি-ধ-ন’ নিয়ে কথার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নিষেধ। বরং যে ব্যক্তি এ হত্যাযজ্ঞকে অস্বীকার করে তাকে শাস্তি দেয়া হয়, জেলে পুরা হয়।
অথচ এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা; এটাকে যে কেউ অস্বীকার করতেই পারে। যদি আসলেই তারা স্বাধীনতার আহ্বায়ক হতো, তাহলে তারা ইসলামী রাষ্ট্রের জনগণকে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদেরকে নেয়ার সুযোগ দিল না কেন?! কেন তারা মুসলমানদের দেশগুলোকে উপনিবেশ বানালো, তাদের ধর্ম ও বিশ্বাস পরিবর্তনের পদক্ষেপ গ্রহণ করল?
ইতালিয়ানরা যখন লিবিয়ার জনগণকে হত্যা করছিল তখন এ স্বাধীনতা কোথায় ছিল? ফ্রান্স যখন আলজেরিয়াতে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল অথবা ইতালিয়ানরা মিশরে গণহত্যা চালাচ্ছিল বা আমেরিকানরা যখন আফগান ও ইরাকে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিল তখন এ স্বাধীনতা কোথায় ছিল?
এসব স্বাধীনতার দাবীদারদের নিকটেও স্বাধীনতা কতগুলো নিয়ম-কানুন দ্বারা শৃঙ্খলিত; যেমন-
১- আইন: কোন মানুষের এ অধিকার নেই যে, সে রাস্তাতে সাধারণ চলাচলের বিপরীত দিকে চলবে বা গাড়ী চালাবে। অথবা লাইসেন্স ছাড়া কোন দোকান-পাট খুলবে। যদি সে বলে আমি স্বাধীন; কেউ তার দিকে ভ্রুক্ষেপও করবে না।
২- সামাজিক প্রথা: উদাহরণতঃ কোন নারী সাগর যাপনের পোশাক পরে কোন মৃতব্যক্তির শোকাহত বাড়ীতে যেতে পারে না! যদি বলে আমি স্বাধীন, মানুষ তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে, তাড়িয়ে দিবে। কারণ এটি প্রথার বিপরীত।
৩- সাধারণ রুচিবোধ: উদাহরণতঃ কোন ব্যক্তি মানুষের সামনে বায়ু ত্যাগ করতে পারে না! এমনকি ঢেকুর তুলতে পারে না। যদি সে বলে, আমি স্বাধীন, তাহলে মানুষ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।
এখন আমরা বলতে চাই: তাহলে আমাদের ধর্মের কেন এ অধিকার থাকবে না যে, আমাদের স্বাধীনতাকে শৃঙ্খলিত করবে। যেমন- তাদের স্বাধীনতা বেশ কিছু বিষয় দ্বারা শৃঙ্খলিত হয়েছে; যে বিষয়গুলোকে তারা অস্বীকার করতে পারে না?! কোন সন্দেহ নেই ইসলাম ধর্ম যা নিয়ে এসেছে এর মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ ও মানুষের জন্য উপকার।
নারীকে বেপর্দা হতে নিষেধ করা, মদপানে বারণ করা, শুকুর খেতে নিষেধ করা ইত্যাদি সব মানুষের শারীরিক, মানসিক ও জৈবনিক কল্যাণেই। কিন্তু ধর্ম যদি তাদের স্বাধীনতাকে বিধিবদ্ধ করে তখনি তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করে। আর যদি তাদের মত অন্য কোন মানুষ বা অন্য কোন আইনের পক্ষ থেকে আসে তখন তারা বলে “শুনলাম ও মানলাম।” ( ইসলাম সওয়াল-জবাব ফাতাওয়া নং-৯৪১৩৪)
বিগত শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, ‘ইসলাম ও গণতন্ত্র দু’টি বিপরীতমুখী ব্যবস্থা। যা কখনো এক হবার নয়।
একটি আল্লাহর উপর ঈমান ও আল্লাহ নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনার নির্দেশ দেয়, অপরটি ত্বাগুতের (আল্লাহ বিরোধী অনুশাসন) প্রতি ঈমান ও তদনুযায়ী জীবন পরিচালনার উপর নির্ভরশীল (সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, রেকর্ড নং-৩৫৩)। আরো একটি পর্ব আসবে ইনশাআল্লাহ।(আল্লাহই সবচেয়ে জ্ঞানী)।
👉 কোন সময়ে আল্লাহ ‘তালা পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন?:
👉 জান্নাতিদের জন্য কি কি নেয়ামত অপেক্ষা করছে?:
👉 হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে কিভাবে দোয়া চাইতে হয়?: